বিশ্বজয়ী সেই তাকরিম চমক দেখাচ্ছেন দুবাইয়ে!
সাদাকালো নিউজ
গেল বছর সৌদি আরবে বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছিলেন হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিম। সেবার তিনি তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন। আবারও লাল-সবুজের পতাকাকে বিদেশের মাটিতে তুলে ধরলেন এই কুরআনে হাফেজ।
এবারের পবিত্র রমজানে ২৬তম দুবাই আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন দু’বারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিম। উপহার দিয়েছেন নিজের স্বভাবধর্মী মুগ্ধকর তিলাওয়াত।
রাজধানীর ঐতিত্যবাহী মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী মাদ্রাসার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ১৪ বছর বয়সী তাকরিম। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী ২৮ মার্চ ছিলো তার কুরআন তিলাওয়াত। একাধারে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার ক্ষেত্রে তার কোনো ভুল হয়নি। মনো মুগ্ধকর তিলাওয়াত করে বিচারকসহ উপস্থিত দর্শকদের প্রশংসা কুড়ান।
বিশ্বজয়ী হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিম ঢাকার মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছেন। প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে দুবাই যাওয়ার পর কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু অসুস্থ শরীর নিয়েও মনো মুগ্ধকর তিলাওয়াত করেছেন তাকরিম– বলে জানান তার শিক্ষক।
জানা গেছে, দুবাই আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগীতার ফলাফল বাংলাদেশ সময় ১২ই রমজান আর মধ্যপ্রাচ্যের সময় ১৩ই রমজান ঘোষণা করা হবে। তবে এর মধ্যে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকরিম প্রথম স্থান অধিকার করেছেন বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তাকরিমের ফেসবুক পেজ থেকে এসব গুজব না ছড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী-ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মুফতি মুরতাজা হাসান ফয়েজী মাসুম তাকরীমের সফলতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
এর আগে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিম। এছাড়া গত বছরের মার্চে ইরান আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম, মে মাসে লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় সপ্তম স্থান অর্জন করেন হাফেজ তাকরিম।
হাফেজ তাকরিমের গ্রামের বাড়ি টাইঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ভাদ্রা গ্রামে। তার বাবা হাফেজ আবদুর রহমান স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। মা গৃহিণী। তাকরিমের মাধ্যমে বাংলাদেশ আরও একটি বিশ্বজয় নিয়ে আসুক সেই প্রত্যাশা এখন দেশবাসীর।