ভোট দিয়ে কেনো ক্ষেপে গেলেন হিরো আলম?
সাদাকালো নিউজ
বগুড়া-৪ এবং বগুড়া-৬ উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন ফেসবুক ইউটিউবের ভাইরাল তারকা হিরো আলম। দুই আসনেই তিনি লড়ছেন একতারা প্রতীকে। এই দুটি আসনসহ দেশের মোট ছয়টি আসনের উপনির্বাচনে বুধবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ চলছে।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় প্রাইভেটকারে করে বগুড়া সদরের এরুলিয়া কেন্দ্রে আসেন হিরো আলম। এরপর মিডিয়াকর্মী এবং ইউটিউবারদের ভিড় সামলে পৌনে ১০টায় তিনি ভোট দেন। এরপর তিনি বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
কাহালু মড়িল হাইস্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, ভোটারের উপস্থিতি কম। তিনি অভিযোগ করেন, বগুড়া-৬ লাহিড়ীপাড়া কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। অনেকবার ট্রায় করার পর নির্বাচন কর্মকর্তা ফোন ধরেছেন। তারা বিষয়টি দেখবে বলে জানিয়েছে। তবে বগুড়া-৪ আসনে ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা সবাইকে বলেছি সুষ্ঠু ভোট হবে এবার। আপনারা সবাই কেন্দ্রে এসে ভোট দেবেন। নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত অবশ্যই থাকার নিয়ত আছে। শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি জয়ী হবো আজ।
অনেকেই বলেন নির্বাচন থেকে মাঝপথে আপনি পালিয়ে যাবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, মাঝপথে এক প্রার্থী কখন পালিয়ে যায়, যখন দেখেন এজেন্টদের বের করে দেয়া হচ্ছে। জোর করে ভোটে সিল দিচ্ছে। তখন তো ভোটে থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো। তখনি মাঝপথে চলে যাওয়া হয়। এখন পর্যন্ত এরকম ঘটনা ঘটেনি। ওই রকম ঘটনা ঘটলে তখন চিন্তা করবো।’
দুই আসন থেকেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী কি না- এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, দুই আসন থেকে এখন এই মুহূর্তে বলতে পারতেছি না। কারণ বগুড়া সদরে ইতোমধ্যে গ্যাঞ্জাম শুরু হয়েছে। বগুড়া সদর থেকে পাশ করবো কি না জানি না। তবে কাহালু-নন্দীগ্রামে পরিবেশ এখনো ভালো আছে। ওখান থেকে আমি খুব ফোন পাচ্ছি। তারা ভোট দিতেছে। খুবই ভালো পরিবেশ আছে।
বগুড়া উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে ইভিএমে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোট চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। দুই আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হিরো আলম।
নির্বাচন উপলক্ষে বগুড়া দুই আসনে ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন। পাশাপাশি ১৪ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাব ১৭ টহল দল মোতায়েন আছে। এ ছাড়াও ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাড়ে ৪ হাজার নিরাপত্তা কর্মী কাজ করছেন।