সান্দ্রো পালিয়ে যাননি, শিগগির ইতালি যাবেন রত্না
সাদাকালো নিউজ
চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশে এসে বিয়ে করেন ইতালির যুবক আলিসান্দ্রো চিয়ারোমন্তে। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োলের খোকোবাড়ি গ্রামের মারকুস দাসের মেয়েকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের এক মাস পর বউকে রেখে ইতালিয়ান যুবকের চলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে নানা ধরণের কুৎসা রটাচ্ছে স্থানীয় লোকজন।
কেউ বলছেন কনে রত্নাকে রেখে উধাও হয়েছেন ইতালিয়ান যুবক। আবার কেউ বলছেন অর্থের লোভে তাঁর পরিবার ইতালিয়ান যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়েছে। আবার সান্দ্রোর পরিবারের সূত্র দিয়ে একটি পত্রিকা দাবি করেছে, ইতালিতে স্ত্রী-সন্তান রেখে লুকিয়ে বাংলাদেশে এসে বিয়ে করেছেন সান্দ্রো। তবে গণমাধ্যমে সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ রত্না ও তাঁর পরিবার।
তবে রত্নার চাচা সমবারু দেশের একটি গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, তাঁদের জামাই পালিয়ে যাননি। অনেকে এটি ভুল প্রচার করছেন। রত্না এবং পরিবারের সঙ্গে সান্দ্রোর যোগাযোগ রয়েছে। প্রায় প্রতিদিন জামাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই রত্নাকে ইতালি নিয়ে যাবেন সান্দ্রো।
চাড়োল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম জানান, এলাকায় ইতালিয়ান ওই যুবকের নামে নানা ধরনের কথা উঠেছে। তাঁর নাকি স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। আরও অনেক কিছু। তবে আমি রত্নার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা বলেছেন, জামাইয়ের সঙ্গে তাঁদের নিয়মিত যোগাযোগ হয়। কোনো ধরনের সমস্যা নেই। খুব তাড়াতাড়ি মেয়েকে ইতালি পাঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
তিনি আরও বলেন, ‘রত্নার পরিবারের কথা অনুযায়ী, সান্দ্রোর নামের যে কথা গুলো গ্রামে উঠেছে, সেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। তবে যেহেতু আমরা এখানে আছি আর ছেলে ইতালিতে তাই কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’
তিনি জানান, মেয়েটির চাচা জোসেফ সেই যুবকের সঙ্গে এক জায়গায় চাকরি করেন। এমনকি তিনি নিজে দেশে এসে তাঁদের বিয়ে দেন। একজন চাচাতো আর নিজের আপন ভাতিজিকে বিপদে ফেলতে পারেন না। তবে আরও কিছুদিন গেলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে।
চাড়োল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার চ্যাটার্জি জানান, ইতালিয়ান যুবক চলে যাওয়ার পর নানা জনে নানা রকমের মন্তব্য করছে। কিন্তু আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি, মেয়েটির ইতালি যাওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এর আগে ২৫ জুলাই রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দিনমজুর মারকুস দাসের ১৯ বছর বয়সী মেয়ে রত্নাকে বিয়ে করেন ৩৯ বছর বয়সী সান্দ্রো। সনাতন ধর্মের রীতি অনুযায়ী ধুমধাম করে বিয়ে হয় তাঁদের। সে সময় কনে রত্না রানী দাস বলেন, সান্দ্রে অনেক ভালো মনের মানুষ। আমাদের অল্পদিনের প্রেম বিয়েতে রূপ নিয়েছে। এর চেয়ে আনন্দের আর কিছু হতে পারে না। আমাদের জন্য আশির্বাদ করবেন।