এখতিয়ার নেই তাই ঘোষণা দিয়েও দাম বাঁধতে পারেনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
সাদাকালো নিউজ
ভোজ্যতেল ও চিনি ছাড়া আরসব নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার এখতিয়ার তার মন্ত্রণালয়ের নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তাই সেসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের সংগঠন ওভারসিজ করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওক্যাব) প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপকালে বাণিজ্যমন্ত্রী একথা জানান।
গেল ৩১ আগস্ট বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে চাল, আটা, ডাল, তেল, চিনি, ডিম, রড ও সিমেন্টের দাম বেঁধে দেওয়া হবে। ১৫ দিন পার করে ১৭ দিনের দিন এসে দাম বেঁধে দিতে না পারার কারণ জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
ঘোষনার নির্দিষ্ট সময়সীমা পার হওয়ার পরও পণ্যগুলির দাম নির্ধারণ করতে না পারার বিষয়ে টিপু মুনশি বলেন, ‘ভোজ্যতেল ও চিনি ছাড়া অন্য পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার এখতিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেই।’
কয়েকটি পণ্যের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে কৃষি মন্ত্রণালয়ে আপত্তির কথা জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮ সালের এক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, কৃষি মন্ত্রণালয় চাল, আটা, ডাল, ডিমের দাম বেঁধে দেওয়ার এখতিয়ার রাখে। ফলে এসব পণ্যের দাম নির্ধারণ নিয়ে এখন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
দেশে ডিমের দামের পরিস্থিতি বুঝে ভারত থেকে ডিম আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘বাজার অস্বাভাবিক হলে আমদানির দিকে যেতে হতে পারে। তবে ভোক্তাদের কথা বিবেচনার পাশাপাশি উৎপাদকদের কথাও ভাবতে হবে। এতে কর্মসংস্থান ও ব্যাংকলোন জড়িত।’
সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতি স্বস্তিদায়ক নয় মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ না থামলে আগামীবছরেও মন্দা বাড়তে পারে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী খাদ্য উৎপাদনে জোর দেওয়ার জন্য বলেছেন। যাতে করে আমরা আমদানি কমাতে পারি।’
‘এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রেও যেন আমরা রপ্তানি বাড়াতে পারি। তবে বৈশ্বিক পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আমরা যে খুব বেশি সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারব তাও বলা যাচ্ছে না।’
এসময় বৈশ্বিক অর্থনীতির বিবেচনায় বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরের নানা দিকও তুলে ধরেন তিনি।