‘শেখ হাসিনার সঙ্গে বাইডেনের সেলফি দেখে বিএনপির ঘুম হারাম’
সাদাকালো নিউজ
এতোদিন বিএনপি আমেরিকার দিকে তাকিয়ে ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সেলফি তুলেছেন। এটা দেখে বিএনপি এখন কী করবে, তা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি আজ গণমিছিল করছে। মিছিল শেষে তাড়াতাড়ি বাড়ি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়বে। কিন্তু তাদের ঘুম তো আসবে না। শেখ হাসিনার সঙ্গে জো বাইডেনের সেলফি দেখে ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
শনিবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি উন্নয়ন সমাবেশে এসব বলেন ওবায়দুল কাদের।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে নয়া দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। সেই সম্মেলনে শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেলফি তুলেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ একটা নতুন খবর আছে। এতোদিন বিএনপি আমেরিকার দিকে তাকিয়ে ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সেলফি তুলেছেন। এই দৃশ্য দেখে বিএনপি এখন কী করবে। পতনযাত্রা নাকি পশ্চাতযাত্রা। কেবলই পেছনের দিকে বিএনপিকে যেতে হচ্ছে। বাইডেন সাহেব শেখ হাসিনার সঙ্গে ছবি তুলেছেন কেমন করে? এসব ভালো লাগেনি বিএনপির।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে বিএনপির গণমিছিল দেখেছি। তাতে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা দেশের জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। এখন তারা বিদেশিদের থেকেও প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নীতি আর্দেশের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর নীতি আদর্শে বিশ্বাসী। বঙ্গবন্ধু বলেছেন সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়। আমরা সেটাই করে যাচ্ছি। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মিথ্যাচার মহামারি আকার ধারণ করছে। তাদের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মিথ্যা কথা বলতে শিখেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাদের নেতাকর্মীরাও গ্রামে মিথ্যাচার করছে।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে কোনো অপশক্তির জায়গা হবে না। আমাদের সকল সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। সমানে ফাইনাল খেলা হবে, এজন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান।
বিদেশে থেকে আর কোনো নেগেটিভ বার্তা আসবে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামীকাল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আসবেন। এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট এসে গেছেন। আর নেগেটিভ আসবে না। এখন যারাই আসবেন, আর নেগেটিভ কিছু আসবে না। এখন সব পজিটিভ আসবে।
আরও একটি খবর আছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির উপরে উপরে আন্দোলন আর তলে তলে নির্বাচনে। তারা তলে তলে নির্বাচনে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচনে না এলে মনোনয়ন বাণিজ্য করবে কীভাবে?
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, একের পর এক সরকার উন্নয়ন অগ্রগতি করে যাচ্ছে। সরকারের উন্নয়ন দেখে বিএনপি এখন চোখে অন্ধকার দেখে। সরকারের উন্নয়ন দেখে বিএনপির ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এখন কোন দিকে পালাবে সেটার দিক খুঁজছে পাচ্ছে না বিএনপি।
ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।