ভোট শান্তিপূর্ণ, ধীরগতির অভিযোগ
কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে প্রথম ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ চলছে।
সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি এবং দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
তবে ভোট গ্রহণে ধীরগতির অভিযোগ করেছেন ভোটাররা।
ভোট শুরুর পর থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ১৫টি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে নারী ও পুরুষ দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষায় রয়েছেন ভোট দিতে। এসব কেন্দ্রে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে মূল লড়াই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী (নৌকা) ও বিদ্রোহী প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদের (নারকেল গাছ) মধ্যে।
মাঠে অন্য তিন মেয়র প্রার্থী হলেন, জগদীশ বড়ুয়া (হেলমেট), জোসনা হক (মোবাইল ফোন) ও মো. জাহেদুর রহমান (হাতপাখা)। জোসনা হক নারিকেল প্রতীক মাসেদুল হক রাসেদের স্ত্রী।
সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট ভোটার ১১৩৭। এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলেন, শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ১৫ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে।
১৮ নম্বর আল মোস্তফা নুরীয়া মাদ্রাসার প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, নারীদের আঙুলের ছাপে সমস্যা হচ্ছে। এতে ভোট গ্রহণে ধীরগতি হচ্ছে।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা বলছেন, নারীদের হাতে মেহেদীসহ বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে আঙুলের ছাপ দিতে বেশি সময় লাগছে। ফলে ভোটারদের লাইনে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
এক নম্বরওয়ার্ডের ইসলামি রিসার্চ সেন্টার কেন্দ্রে মোট ভোটার তিন হাজার ৭৪২ জন। এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কাজী আবুল কাশেম বলেন, সাড়ে ৩ ঘণ্টায় ২০ শতাংশ ভোট নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ১২টি ওয়ার্ডে ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ দায়িত্বে রয়েছেন ১৫ ম্যাজিস্ট্রেট, ৭ প্লাটুন বিজিবি, ১২টি র্যাব টিম ও ৭৯০ জন পুলিশ সদস্য।
৪৩টি কেন্দ্রে ২৪৫টি কক্ষ রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্র ও কক্ষ সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত রযেছ বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, যেহেতু ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলবে তাই প্রতিটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারদের বলা আছে নির্বাচন শেষ হলে কেন্দ্রেই যেন ফলাফল প্রকাশ করা হয়। বিগত দিনেও কক্সবাজারে ইভিএমে সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে এবারও একটি সুষ্ঠু, সুন্দর এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারবো বলে মনে করি।
পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৯৫ হাজার ৩৮৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫০ হাজার ১৮৪ জন ও নারী ভোটার ৪৫ হাজার ২০২ জন।