জনগণের ঢিল খেয়ে মঞ্চ ছাড়লেন নোবেল!
সাদাকালো নিউজ
মাঈনুল আহসান নোবেল। দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী। বিতর্কিত হতেই যেন পছন্দ করেন তিনি। আবারও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে আলোচনায় এসেছেন এই সংগীতশিল্পী। এবার মঞ্চে অসংলগ্ন আচরণ করে দর্শকদের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন তিনি। না সেব্য পণ্য সেবন করা অবস্থায় মঞ্চে গাইতে উঠে অসংলগ্ন আচরণের কারণে দর্শকের জুতার ঢিল হজম করতে হয়েছে তাকে।
কুড়িগ্রামে একটি ডিগ্রি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্পী নোবেলের এমন কাণ্ডে বন্ধ হয়ে গেছে শো। দর্শকরা তাকে লক্ষ করে জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। শিল্পী নোবেলের এমন কর্মকাণ্ড মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পরা ভিডিও ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ৫০তম সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে গায়ক নোবেলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ২৭ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে তার গান গাওয়ার কথা থাকলেও তিনি স্টেজে উঠেন রাত ১১টা ২০ মিনিটে।
মঞ্চে উঠে নোবেল তার চশমা খুলে পাঞ্জাবির কলারে রেখে কথা বলেন দর্শকদের সাথে। জানান, দ্বিতীয় বার তিনি কুড়িগ্রামে এসেছেন। এর আগে একবার আসলেও দেখা হয়নি দর্শকদের সাথে। ঘুরে গেছেন ভারতের সীমান্ত থেকে। একটু পরেই নোবেল- আমার চশমাটা কই বলে চিৎকার করে উঠেন। পরে চশমা পেয়ে ‘সে যে আমার জন্মভূমি’ গান পরিবেশন করেন।
গান শেষে নোবেল মঞ্চেই আছড়ে ভেঙ্গে ফেলেন মাইক্রোফোন স্ট্যান্ড। এরপর তিনি স্টেজে দু’পা তুলে প্যারেড করার মতো লাথি মেরে নিজের প্যান্ট ঠিক করে গান ধরেন ‘কারা রৌই লৌহ কপাট’।
গাইতে গাইতে এক পর্যায়ে অসংলগ্ন আচরণ শুরু করেন তিনি। বসে পড়েন স্টেজের পাটাতনে। তার এমন কাণ্ডে ক্ষেপে যান দর্শকরা। জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে মারেন তার দিকে। পরে আয়োজকরা নোবেলকে স্টেজ থেকে সরিয়ে নিয়ে যান।
এদিকে নোবেলের এমন কাণ্ডে অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা লজ্জিত। এটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। মার্জিত এবং সুন্দর একটি অনুষ্ঠান নিমিষেই পণ্ড করে দেয়ার দায় শিল্পীকেই নিতে হবে।
এ বিষয়ে নোবেলের মুঠোফনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেনেনি। অবশ্য এবারি প্রথম নয়, এর আগে জেমসের বিরুদ্ধে কুটক্তি, আসিফের গিটারভাঙ্গাসহ নানা ইস্যুতে একাধিকবার বিতর্কে পড়েছেন নোবেল।