চকলেটের মিষ্টতায় মিষ্টি হয়ে থাকুক সব ভালোবাসা
সাদাকালো নিউজ
সারা বিশ্বে শুরু হয়ে গেছে প্রেমের সপ্তাহ। গোলাপ আর প্রেম নিবেদনের দিনের পর এবার আসলো চকলেট ডে। আজ ৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব চকলেট দিবস। এ দিনটি ভ্যালেন্টাইন’স সপ্তাহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। চকলেট যেমন অভিমান ভাঙতে পারে, তেমনই পারে দেয়া-নেয়ার সম্পর্ক আরও মধুর করতে।
ইংরেজী ভাষায় chocolate শব্দটি এসেছে স্প্যানিশ ভাষা থেকে। তবে স্প্যানিশ ভাষায় এই শব্দটা কীভাবে এসেছে, তা নিয়ে রয়েছে মতভেদ। ধারণা করা হয়, নাহুয়াতি ভাষা, অর্থাৎ অ্যাটজেকদের ভাষার শব্দ chocolatal থেকে এসেছে chocolate শব্দটি। এই chocolatal এসেছে xocolatl থেকে। xococ এর অর্থ হলো তেতো বা টক এবং atl এর অর্থ হলো তরল বা পানীয়।
পশ্চিমা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইদানিং বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরাও দিনটি উদযাপন করছেন। যদিও ঐতিহাসিক ভাবে এ দিনটি পালনের কোনও প্রথার নির্ভরযোগ্য ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি, তবে ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহে ‘চকলেট ডে’ পালন একটু দুষ্টু-মিষ্টি ভালোবাসার খুনসুটির মতোই।
কথিত আছে, ভিক্টোরিয়ান যুগে রিচার্ড ক্যাডবেরি নামে এক চকলেট-বিক্রেতা হার্ট-শেপড বাক্সে চকলেট ভরে বিক্রি করতেন ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহে। সেখান থেকে শুরু হয় মনের মানুষকে চকলেট উপহার দেয়ার রীতি। বর্তমানে ক্যাডবেরি কোম্পানি নানা রকম চকলেট তৈরি করে থাকে, যা চকলেট ডে-র পাশাপাশি সারা বছর ধরে বিক্রি হয়।
১৯৫০ সাল থেকে জাপানেও ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহে চকলেট উপহার দেয়ার প্রথা শুরু হয়। সেখানকার মোরোজফ নামের এক চকলেট প্রস্তুকারী সংস্থার হাত ধরেই এটি প্রচলন শুরু হয়। তবে জাপানে কেবল প্রেমিকারাই মনের মানুষকে চকলেট উপহার দিয়ে থাকেন। এভাবেই শুরু হয় চকলেট ডে-র পথচলা। যা তেইশ শতকেও সমান জনপ্রিয়।