খুনি সন্দেহে নারীকে নিউজিল্যান্ডে প্রত্যর্পণ করলো দক্ষিণ কোরিয়ার
সাদাকালো নিউজ
দুটি শিশুর মরদেহ কয়েক বছর ধরে একটি পণ্য রাখার স্থানে ফেলে রেখেছিলেন নিউজিল্যান্ডের এক নাগরিক৷ দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের কাছের একটি বিমানবন্দরে নিউজিল্যান্ডের কর্তৃপক্ষের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে৷
নিউজিল্যান্ডে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলার বিচার করা হবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার বিচার মন্ত্রণালয়৷ গত আগস্টে লাগেজে দুই শিশুর মরদেহ পাওয়ার ঘটনায় ৪২ বছর বয়সী ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷
সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে ইনচেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিউজিল্যান্ডের কর্তৃপক্ষের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে৷ এ সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়৷
গত সেপ্টেম্বরে আলসান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ তিনি নিউজিল্যান্ডের নাগরিক হলেও জন্ম দক্ষিণ কোরিয়ায়৷ অভিবাসন পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে তিনি তার জন্মস্থানে ফিরে যান৷
‘আমরা আশা করছি, এই প্রত্যর্পণের মাধ্যমে গোটা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনাটি ঠিক কী ছিল, তা নিউজিল্যান্ডের ন্যায্য ও কঠোর বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রকাশিত হবে’, জানায় দক্ষিণ কোরিয়ার মন্ত্রণালয়৷
নিউজিল্যান্ডের অনুরোধেই ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তার প্রত্যর্পণের অনুমোদন দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত৷
স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অবশ্য অভিযুক্ত নারী দাবি করেছন, তিনি এই ঘটনা ঘটাননি৷ তাকে একটি পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় এ কথা বলেন তিনি৷ ওই সময় তার মাথা একটি বাদামি কোট দিয়ে ঢাকা ছিল৷
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড পত্রিকা লিখেছে, সন্দেহভাজনকে ফিরিয়ে আনতে নিউজিল্যান্ড পুলিশের তিন সদস্য দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন৷ বুধবারই তাকে দেশটির আদালতে তোলা হবে৷
মরদেহ কয়েক বছর জমা করে রাখা হয়
একটি পরিবার পরিত্যক্ত পণ্য ভর্তি একটি ট্রেইলার কিনলে ঘটনাটি জানাজানি হয়৷ সেসব পণ্যের মধ্যে থাকা লাগেজে দুই শিশুর মরদেহ পাওয়া যায়৷ তাদের বয়স পাঁচ এবং ১০ বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
নিউজিল্যান্ড পুলিশের ধারণা, মরদেহগুলো কয়েক বছর লাগেজের মধ্যে ছিল৷ সেগুলো অকল্যান্ডের একটি পণ্য রাখার স্থানে তিন থেকে চার বছর ছিল৷
দক্ষিণ কোরিয়া পুলিশ ধারণা করছে, গ্রেপ্তারকৃত নারী শিশু দুটির মা৷ কারণ পণ্য রাখার স্থানে দেওয়া ঠিকানার সঙ্গে তার নিউজিল্যান্ডের ঠিকানার মিল রয়েছে৷