শেখ রেহানা যেভাবে নিজের পরিচয়ে পরিচিত হয়ে উঠলেন
সাদাকালো নিউজ ডেস্ক
শেখ রেহানা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে। জন্ম ১৯৫৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায়।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কাছে তিনি ‘ছোট আপা’। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদরের ছোট বোন।
পঁচাত্তর ট্রাজেডির পর বঙ্গবন্ধু পরিবারে বেঁচে যান দুই জন। বড় বোন শেখ হাসিনা, আর শেখ রেহানা। সে সময় বড় বোনের মতো শেখ রেহানার জীবনেও ঝড় বয়ে যায়। সেই দুঃসময় সামলে উঠেছেন। এগিয়ে যাচ্ছেন জীবনের পথে।
পঁচাত্তর ট্রাজেডির সময় বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে ছিলেন। প্রাণে বেঁচে যান সৌভাগ্যক্রমে।
বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে সে সময় বেলজিয়ামে ছিলেন শেখ রেহানা। শেখ হাসিনার স্বামী এম ওয়াজেদ মিয়ার কর্মস্থল ছিল জার্মানির কার্লসরুয়েতে।
১৯৮৩ সালে সাপ্তাহিক চিত্রবাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ রেহানা জানান, “১৫ অগাস্ট তিনি মরে গেলেই ভালো হত। বাবা নেই, মা নেই, ভাই নেই। তার আর বাঁচতে ইচ্ছা করে না।
ভয়াল সেই সময়ে জার্মানি থেকে পরে ভারতে যান দুই বোন। শুরু হয় তাদের নির্বাসিত জীবন। অনেকটা সময় কাটে ভারতে।
শেখ রেহানা পরে লন্ডনে চলে যান। স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন।
শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফেরেন। হাল ধরেন বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগের। তাঁর নেতৃত্বে চারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।
রাজনীতিতে সক্রিয় নন শেখ রেহানা। তবে, নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেন বড় বোনকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ মুখে এই তথ্য জানিয়েছেন অনেক বার।
শেখ রেহানার স্বামী ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন তিনি।
এই দম্পতির তিন ছেলে-মেয়ে। বড় মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টির একজন এমপি।
ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের-সিআরআই ট্রাস্টি।
শেখ রেহানার ছোট মেয়ের নাম আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ‘কন্ট্রোল রিস্কস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের গ্লোবাল রিস্ক অ্যানালাইসিস সম্পাদক হিসেবে কর্মরত তিনি।