৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ১০ম শ্রেণির ছাত্রের বিয়ে!
নাফিজা আক্তার
বাল্যবিবাহ বন্ধে দেশের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বড় ভূমিকা পালন করছেন। অথচ চুয়াডাঙ্গার এক শিক্ষিকা তার দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর। এ ঘটনায় সচেতন মহলে চলছে তুমুল আলোচনা।
চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই স্কুলেরি সহকারি শিক্ষিকা শামসুন্নাহার। তিনি তাঁর নিজের ১৬ বছরের ছেলের সাথে বিয়ে দেন ওই স্কুলেরি পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ১১ বছরের এক ছাত্রীর সঙ্গে।
প্রথমে ঘটনাটি জানাজানি না হলেও মেয়েটি শুশ্বরবাড়িতে এলে লোকমুখে ছড়িয়ে পরে বাল্যবিয়ের এই বিষয়টি। সমালোচনার ঝড় ওঠে এলাকাজুড়ে।
অভিযুক্ত শিক্ষিকার দাবি, ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে তাঁর ছেলে। এরপর বিয়ের দাবিতে সে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয়। এমনকি নিজেকে শেষ করে দেয়ারও চেষ্টা চালায়। এ কারণে বাধ্য হয়ে তাদের বিয়ে দিয়েছেন।
শিক্ষিকা শামসুন্নাহার আরও বলেন, মেয়েটির মা নেই বাবা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। তাঁর অসহায়ত্বের কথা চিন্তা করে এ অন্যায় কাজটি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছি। এ জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। মেয়েটির পড়াশোনার দায়িত্ব আমি চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করব।
তবে ছেলে বলছে, আম্মা সকালে স্কুলে চলে যায়। রান্নাবান্না করতে অনেক দেরি হয়ে যায়। এ কারণেই বিয়ে করতে হয়েছে তাঁকে।
এদিকে বিষয়টি তদন্ত করে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুণ্ডু।