স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল!
সাদাকালো নিউজ
ঋণখেলাপির দায়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। রোববার মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম। তবে সাবেক এই মেয়রের মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে সকালে জেলা শহরের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে অবস্থিত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে শুরু হয় প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই। এতে মেয়র পদপ্রার্থী ১২ জনসহ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদেরও মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়।
সবশেষ মেয়র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দীন, গণ ফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আল মামুন মন্ডল, হারুনর রশিদ, সরকার শাহানূর ইসলাম রনি, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন, জাকের পার্টির রাজু আহমেদের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম।
এ সময় ঋণ খেলাপির অভিযোগ এনে জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। এই বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলমের অভিযোগ, তার উপর অন্যায়-অবিচার করা হয়েছে। তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
ঋণ খেলাপির বিষয়ে জাহাঙ্গীর জানান, কোনাবাড়ির একটি কম্পোজিট ফ্যাক্টরি যেখানে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করে। কোরিয়ার মালিকানাধীন ওই কারখানার লাভ নয় শুধু শেয়ার নেন তিনি। কোরিয়ান কর্তৃপক্ষ ফ্যাক্টরি সচল রাখতে ঋণ নিয়েছিলো। তবে করোনা ও ইউক্রেন সংঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তারা পেমেন্ট দিতে পারেননি। তবে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কারণে পাওনা পরিশোধ করেছেন। সব ডকুমেন্ট আইনজীবীর মাধ্যমে জমা দিয়েছেন।
এরপরও তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে বলে জানান জাহাঙ্গীর। তার ভাষ্য, নির্বাচন কমিশন তাদের নিরপেক্ষতা থেকে সরে গেছেন। হয়তো কোন অদৃশ্য চাপে তারা এই কাজটি করেছেন। তবে তিনি ন্যায়বিচারের স্বার্থে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার, বিধিনিষেধ পরিপন্থি কার্যকলাপ ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০২১ সালের নভেম্বরে জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়। পরে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাকে আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়। এরপর অবশ্য তাকে শর্তসাপেক্ষে ক্ষমাও করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর এবারের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু দল তাকে মনোনীত না করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দেন তিনি। এরপর গেল বৃহস্পতিবার তার এবং তার মায়ের মনোনয়নপত্র জমা দেন।