যেভাবে শ্রেয়া-দীপ্ত-মাহিরকে শেষ বিদায় জানাল কানাডা
সাদাকালো নিউজ
কানাডার টরন্টোতে সড়কে পরপারে পাড়ি দেয়া শাহরিয়ার খান এবং আরিয়ান দীপ্তের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। টরন্টোর মসজিদ আল আবেদিনে অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশ নেন বাঙালি কমিউনিটি নেতাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। এছাড়াও অ্যাঞ্জেলা শ্রেয়ার প্রার্থনা ও শেষ দর্শন সম্পন্ন হয়েছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ইটোবিকোকের ১২১ সিটি ভিউ ড্রাইভে অবস্থিত লোটাস ফিউনারেল অ্যান্ড ক্রিমেশন সেন্টারে শ্রেয়া বাড়ৈয়ের প্রার্থনা সম্পন্ন হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি বাদ জোহর স্কারবোরোর ১ স্ট্যামফোর্ড স্কয়ার নর্থে অবস্থিত মসজিদ আল-আবেদীনে শাহরিয়ার ও দীপ্তর জানাজা সম্পন্ন হয়।
জানাজায় শাহরিয়ার ও দীপ্তর কলেজের সহপাঠী, কলেজের ডীন, কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ প্রায় দেড় হাজার লোকের সমাগম হয়। টরোন্টো ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই এই জানাজায় অংশ নেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ কানাডিয়ান ফিউনারেল সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না কবে তাদের দেহ দেশে পাঠানো হবে। তবে এর প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। আগামী বুধবার বা বৃহস্পতিবার দেহ পাঠানোর ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে বলা যাবে।
হাজারও স্বপ্ন নিয়ে কানাডায় উচ্চশিক্ষা নিতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের চার শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে তিনজনের স্বপ্ন শেষ হয় কানাডার সড়কে। গাড়ি দুর্ঘটনায় পরপারে পাড়ি দিয়েছেন তিনজন। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আছেন আরেকজন।
কানাডার টরন্টোতে গত সোমবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুর্ঘটনার শিকার হয় বাংলাদেশি চার শিক্ষার্থীর গাড়ি। নগরীর অদূরে ৪২৭ হাইওয়ে ডানডাস ইন্টারসেকশনের কাছে তাদের গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। পুলিশের ভাষ্য, গাড়িটি খুব দ্রুত গতিতে চলছিল। এক হাইওয়ে থেকে আরেক হাইওয়েতে উঠার সময় টার্ন নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। সড়ক বিভাজকে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি উল্টে ঘটে দুর্ঘটনা।
পরে জানা যায়, ওই গাড়িটিতে চালকের আসনে ছিলেন কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার। গাড়িটির পেছনে ছিলেন শাহরিয়ার খান মাহির ও আরিয়ান আলম দীপ্ত নামে দুই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। ঘটনাস্থলেই এই দুজন প্রাণ হারান। নিবিড়ের পাশে সামনের সিটে ছিলেন অ্যাঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈ নামে আরেক শিক্ষার্থী। তাঁকে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে শেষ নিঃশ্বাস ছাড়েন তিনি।
এ ঘটনায় গুরতর আহত হয়ে কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। টরন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। চিকিৎসকরা তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্যামেরার মাধ্যমে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। কুমার বিশ্বজিৎ দম্পতি বর্তমানে টরন্টোয় অবস্থান করছেন।