মহেশখালীতে হচ্ছে তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল
সাদাকালো নিউজ
দেশের জ্বালানি ঘাটতি পূরণে কক্সবাজারের মহেশখালীতে আরও একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল (এফএসআরইউ) স্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। ৬০০ এমএমসিএফ ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ভাসমান এই টার্মিনালটি স্থাপন করবে সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং গ্রুপ। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
বুধবার (১৪ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক কক্সবাজারের মহেশখালীতে দৈনিক ৬০০ এমএমসিএফ ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন,দেশের বিদ্যমান ও ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের জন্য অধিক পরিমাণ এলএনজি আমদানির সুবিধার্থে কক্সবাজারের মহেশখালীতে আরও ১টি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন, ২০২১ এর আওতায় কক্সবাজারের মহেশখালীতে দৈনিক ৬০০ এমএমসিএফ ক্ষমতাসম্পন্ন ৩য় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কো. লি. একটি প্রস্তাব দাখিল করে। প্রস্তাবটি সভায় গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়।
দেশে বর্তমানে দুটি এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে। মহেশখালীতে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট সক্ষমতার এ দুটি টার্মিনাল নির্মাণ করে ইউএসএ-এর এক্সেলরেট এনার্জি এবং সামিট গ্রুপ।
এর মধ্যে মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই পেট্রোবাংলার সঙ্গে চুক্তি করে এক্সিলারেট এনার্জি। নির্মাণ শেষে ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট গ্যাস সরবরাহ শুরু করে কোম্পানিটি। ১৫ বছর মেয়াদি এ টার্মিনাল দিয়ে গ্যাস সরবরাহের চুক্তি রয়েছে ২০৩২ সাল পর্যন্ত। তবে এরই মধ্যে এ টার্মিনাল চুক্তির মেয়াদ ২০৩৮ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
একই প্রযুক্তি মেনে মহেশখালীতে ভাসমান স্থানীয় জ্বালানি খাতের কোম্পানি সামিট গ্রুপ এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল মাসে চুক্তি করে। এরপর ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল মাসে গ্যাস সরবরাহ শুরু করে কোম্পানিটি। এ টার্মিনালের মেয়াদ রয়েছে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত। কক্সবাজারের মহেশখালী উপকূলে স্থাপিত এ দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের সরবরাহ সক্ষমতা মোট ১ হাজার (৫০০+৫০০) এমএমসিএফডি।
এছাড়াও সভায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জিটুজি চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আর আমিরাত থেকে ৩ লাখ ৯০ হাজার মে.টন ইউরিয়া সার, কাতার থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার মে.টন ইউরিয়া সার, সৌদি আরব থেকে ৫লাখ ১০ হাজার মে.টন ইউরিয়া সার আমদানির তিনটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন।
অতিরিক্ত সচিব জানান, দেশের ১৪ হাজার ২০০টি কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ঔষধ ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ১৪ হাজার ২০০টি কমিনিউটি ক্লিনিকের জন্য ২৭ প্রকার ঔষধ পিপিআর ২০০৮ অনুযায়ী সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।