বিনিয়োগ ছাড়াই শতকোটি টাকার মালিক জিয়াউদ্দিন
সাদাকালো নিউজ
ফোশান গ্রুপের ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারলে নজরকাড়া বিজ্ঞাপনে চোখ আটকে যাবে আপনার। আসলে ক্রেতাদের মন ভোলাতে বিজ্ঞাপনে এমন চাকচিক্য। শিল্প গ্রুপ খুলে তিনি সেজেছিলেন শিল্পপতি। নাম জিয়াউদ্দিন জামান। কোম্পানিটির চেয়ারম্যান। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে শতকোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।
ভুয়া প্রতিষ্টানের শেয়ার বিক্রি এবং মানুষকে বোকা বানিয়ে সেই টাকায় কাটিয়েছেন বিলাসী জীবন। আইনি জটিলতায় জড়িয়েও থামেনি জিয়াউদ্দিনের কুকর্ম। সেখান থেকে বাঁচতে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের না জানিয়ে কাগজে কলমে শেয়ার দিয়ে রাখতেন জিয়াউদ্দিন।
কাতার, চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশে অফিস খুলে প্রতারণা করে আসছিলেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি ফোশান গ্রুপের চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিনের। র্যাবের জালে আটকা পড়েছেন।
জানা গেছে, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জিয়াউদ্দিনের গ্রামের বাড়ি। ২০০৯ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় যান। সেখান থেকে সবজির ব্যবসা করে অর্থ পাচার করেন হংকংয়ে। পরবর্তীতে চীন, দুবাই, কাতারসহ বিভিন্ন দেশে ঘুরে আরও কিছু ব্যবসা রপ্ত করেন। পরে ২০১৪ সালে দেশে ফিরে খুলে বসেন প্রতারণার ব্যবসা।
জীবন যাপন করতেন বিলাসী। রোলেক্স ব্র্যান্ডের ঘড়ি পরতেন চলতেন দামি ল্যান্ড ক্রুসার গাড়িতে। রাজধানীর বনানীর ৪ নম্বর রোডের একটি ফ্ল্যাটে ছিলো তাঁর আস্তানা।
পুলিশের ভাষ্য, জিয়াউদ্দিনের ২০টি ভুঁইফোঁড় শিল্প প্রতিষ্ঠান। যেগুলোতে মোট কর্মকর্তা ছিলো ৬ জন। আইনি ঝামেলা এড়াতে সেই কর্মকর্তাদের নামে শেয়ার দিয়ে রেখেছিলেন তিনি।