‘আমি যদি কাজ না করি, পাগল হয়ে যাবো’
সাদাকালো নিউজ
ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ পিঠাপিঠি হওয়ায় ক্রিকেটারদের দম ফেলানোর ফুরসত পাচ্ছেন না। তিন ফরম্যাটেই যারা খেলছেন তাদের ব্যস্ততা আরো বেশি। সাকিব আল হাসান সেই তালিকারই একজন।
অথচ মাঠের খেলার পাশাপাশি মাঠের বাইরেও সাকিবকে ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে। যেজন্য সাকিবকে অন্য সবার চেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। মাঠের ক্রিকেট, ব্যক্তিগত কাজ ও পণ্যের দূতিয়ালী কার্যক্রম সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছেন এ ক্রিকেটার।
যে তালিকাটা ক্রমশ লম্বা থেকে দীর্ঘ হচ্ছে। কীভাবে পারছেন সাকিব? ম্যারাথন এই সফর কী এভাবেই চলবে? ক্লান্তি কী তাকে ভর করে না? জানতে চাওয়া হয়েছিল তার কাছেই।
সাকিব উত্তরটা দিয়েছেন এভাবে, ‘আমার কাছে ভালো লাগে। আমি উপভোগ করি এটা। আমার মনে হয় আমি যদি কাজ না করি, পাগল হয়ে যাবো। তাই কাজ করে যেতে চাই।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই সাকিবের এই কর্মব্যস্ত মহাযজ্ঞের শুরু। ৯ মার্চ চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টি শেষে একটি শো রুম উদ্বোধন করতে যান সাকিব।
১০ ও ১১ মার্চ পরপর দুদিন শুটিং করেন রাজধানীর বনশ্রীর স্টুডিও নাইন অ্যান্ড হাফে। দুদিনই শুটিং ছিল সেভেন আপ কোম্পানির। ১০ মার্চ রাতে আবার গ্রামীণ ফোনের ইভেন্টে যোগ দেন। গ্রামীণ ফোন প্রিমিয়াম কাস্টমারের জন্য নানা সময়ে বিভিন্ন আয়োজন করে থাকে। এবার ছিল মুভি নাইট। সেই কার্যক্রমে সাকিব উপস্থিত ছিলেন।
১২ মার্চ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শেষে পরদিন চলে যান মাগুড়ায় নিজ শহরে। সেখানে জমি সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত সময় কাটান। ১৪ মার্চ তৃতীয় টি-টোয়েন্টি শেষে রাতে চলে যান দুবাই।
১৫ মার্চ দুবাইয়ে একটি স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করে পরদিন ভোরে ঢাকায় ফিরে আসেন। ১৬ মার্চ রাতে চ্যানেল আইয়ের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনের গালা ইভিনিংয়ে হোটেল শেরাটনে যোগ দেন।
১৭ মার্চ দলের সঙ্গে সিলেটে অনুশীলন করেন সাকিব। পরদিন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে খেলেন। ১৯ মার্চ সিলেট থেকে ঢাকায় এসে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এআইইউবির গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামে যোগ দেন। যেখানে সাকিব গ্রহণ করেন তার শিক্ষাগত সনদ।
২০ মার্চ সিলেটে ফিরে দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলে রাতেই আবার ঢাকায় ফিরে আসেন। পরদিন ঢাকায় বিমান বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিতে সই করেন। ২২ মার্চ ঢাকায় শুটিংয়ে ব্যস্ত সময় কাটান। রুচি সসের বিজ্ঞাপন করেন। সেই রাতে দলের সঙ্গে যোগ দেন তৃতীয় ওয়ানডে খেলার জন্য।
২৩ মার্চ আইরিশদের সঙ্গে তৃতীয় ওয়ানডে খেলে রাতে ঢাকায় ফিরে আসেন। ২৪ মার্চ সাকিব আল হাসান ক্যানসার ফাউন্ডেশন প্রোগ্রাম চালু করেন হোটেল র্যাডিসনে।
পরের দুদিন দলের সঙ্গে ছিলেন সাকিব। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রস্তুতি নেন। ২৭ মার্চ প্রথম টি-টোয়েন্টি শেষেও দলের সঙ্গে ছিলেন তিনি। ২৮ মার্চ চট্টগ্রামে ব্যস্ত সময় কাটান। সেদিন একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং সেরে নেন। ২৯ মার্চ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শেষে তাকে ধরতে হয় ঢাকার ফ্লাইট। পরদিন ভারতীয় দূতাবাসে ভিসার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রাতেই আবার চট্টগ্রামে ফিরে আসেন। ৩১ মার্চ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি খেলে রাতে ঢাকায় ফেরেন।
১ এপ্রিল মোহামেডানের জার্সিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচ খেলার পর বিকেএসপি থেকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় ফিরে ইয়ামাহার মোটরবাইক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেই অনুষ্ঠানেই নিজের ব্যস্ততা নিয়ে খোলামনে কথা বলেছেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।