মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ
সাদাকালো নিউজ
মিষ্টি আলুতে মিলবে নানান উপকারিতা। এটি হার্ট ও ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে, দৃষ্টিশক্তি সুরক্ষিত রাখে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় এবং রক্ষা করে অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে। জানুন মিষ্টি আলুর উপকারিতা ও রান্নার পদ্ধতি।
পুষ্টি উপকারিতা : সব আলু পুষ্টিতে সমৃদ্ধ এবং স্বাস্থ্যকর বলে মনে করেন নিউট্রিশনিস্ট ও ডায়েটিশিয়ানরা। কিন্তু মিষ্টি আলুতে (কমলা, হলুদ ও পার্পল রঙের মিষ্টি আলু) গোল আলুর তুলনায় কম ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেট থাকে। এতে থাকে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন এ, যা ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে এবং সুস্থ ত্বক ও দৃষ্টি বজায় রাখতে সাহায্য করে। একটি মিষ্টি আলু দৈনিক ১০০ শতাংশের বেশি ভিটামিন এ সরবরাহ করে। এ ছাড়া আছে প্রচুর ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি৬; যা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামেরও ভালো উৎস। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। একটি মিষ্টি আলুতে প্রায় ৪ গ্রাম উদ্ভিজ্জ ফাইবার রয়েছে; যা স্বাস্থ্যসম্মত ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমায়। যেমন টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও উচ্চ কোলেস্টেরল।
স্টার্চি রুট সবজি হিসেবে মিষ্টি আলুতে নন-স্টার্চি সবজির (যেমন ব্রকলি) চেয়ে বেশি কার্বোহাইড্রেট থাকে। আধা বাটি মিষ্টি আলুতে প্রায় ১৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে, যেখানে সমপরিমাণ ব্রকলিতে থাকে প্রায় ৩ গ্রাম। এটি হতে পারে মিষ্টি আলু খাওয়ার অন্যতম কারণ, ভয় পাওয়ার নয়। নন-স্টার্চি সবজির তুলনায় মিষ্টি আলু দেয় বেশি শক্তির জোগান। যে কারণে এটি দৈনন্দিন কার্যক্রম ও অ্যাথলেটিক পারফরম্যান্সের জন্য একটি ব্যতিক্রমী জ্বালানি উৎস।