বিশ্ব সুখ দিবসে জানুন সুখী হওয়ার আসল উপায়
সাদাকালো নিউজ
সুখ যদি কখনও আপনার জীবনে ধরা না দেয় তবে জেনে নিন, আজ ঠিকই অদৃশ্য এ বস্তুটি আপনার কাছে এসে ধরা দেবে। কারণ আজকের দিনটি কেবল সুখের জন্যই। সারাবিশ্বে প্রতি বছর ২০ মার্চ পালন করা হয় আন্তর্জাতিক সুখ দিবস।
২০১২ সালের ২৮ জুন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক অধিবেশনে প্রতি বছরের ২০ মার্চ সুখ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কারণ জীবনের মূল উদ্দেশ্যই সুখে থাকা। তাই প্রতি বছর এ দিবসটিতে সুখী দেশের তালিকাও প্রকাশ করে থাকে জাতিসংঘ।
‘তুমি সুখ যদি নাহি পাও, যাও সুখের সন্ধানে যাও..’- বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ অমর বাণী অনুযায়ী মানুষ প্রতিনিয়তই সুখ খুঁজে ফিরে। তবে শেষ পর্যন্ত প্রকৃত সুখ যেন অধরাই থেকে যায়। তবে সুখ যদি অধরাই থেকে যায় আপনার জীবনে, তবে এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কারণ সুখী হওয়ার চাবিকাঠি রয়েছে আপনার হাতেই।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ্যার একজন অধ্যাপক লুরি স্যান্তোস এমনটাই মনে করেন। তিনি জানিয়েছেন, সুখী হওয়ার আসল উপায়। তার মতে, সুখ জীবনে হঠাৎ করে আসে না। এর জন্য প্রয়োজন নিয়মিত চর্চার।
কীসের চর্চা? এমন প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে নিশ্চয়ই? মনোবিদ লুরি স্যান্তোস বলেন, ঠিক যেভাবে সংগীত শিল্পী বা ক্রীড়াবিদরা চর্চা করেন, অন্যদের শেখান, তাদের উন্নতিতে সহায়তা করেন, ঠিক একইভাবে চর্চা করে শেখা যেতে পারে যে, কীভাবে নিজেকে একজন সুখী মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা যায়।
নিজেকে একজন সুখী মানুষ করে গড়ে তুলতে কিছু উপদেশও দিয়েছেন তিনি। যেমন- নিজের প্রাপ্তি ও সফলতার একটি তালিকা তৈরি করা, প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমানো, প্রতিদিন ১০ মিনিট মেডিটেশন বা ধ্যান করার অভ্যাস, পরিবার-আত্মীয়স্বজন-বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো এবং সামাজিক মাধ্যমে কম সময় দিয়ে বাস্তব যোগাযোগ বৃদ্ধি করা ইত্যাদি।
অধ্যাপক লুরি স্যান্তোসের এসব উপদেশ ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুখী হওয়ার ক্ষেত্রে উপকারে এসেছে। যে কারণে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে লুরির ‘মনোবিদ্যা এবং সুখী জীবন’ হয়ে উঠেছে সবচেয়ে জনপ্রিয় কোর্স। তাই তার উপদেশ কাজে লাগিয়ে জীবনে একজন সুখী মানুষ হয়ে উঠতে পারেন আপনিও। সূত্র: বিবিসি