মহাকাশ ঘুরে পৃথিবীর বুকে ফিরল বাংলাদেশের ধনিয়া বীজ
রাকিব হাসান
বাংলাদেশের ধনিয়া বীজ। নাসার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ছিল ৬ মাস। জাপানের কিবো (KIBO) মডিউলে এই ছয় মাস কাটিয়ে ফিরে এসেছে পৃথিবীর বুকে। এসব বীজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি-এনআইবি।
গত ৭ই মার্চ স্পেস স্টেশনে পৌঁছায় বাংলাদেশের ধনিয়া। পৃথিবীতে ফিরে এলেও এখনো বাংলাদেশের হাতে এসে পৌঁছেনি। আমেরিকার গবেষণা সংস্থা নাসার পর জাপানের জাক্সা হয়ে এটি বাংলাদেশে পৌঁছাবে। হাইড্রোফোনিক পদ্ধতিতে, আর্টিফিসিয়াল সানলাইট এবং টেম্পারেচার কন্ট্রোল করে স্পেসে বীজ থেকে চারা উৎপাদন করা হয়েছে।
এনআইবির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ বলেন, মালয়েশিয়া, জাপান, থাইল্যান্ডসহ ১২টি দেশ এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত আছে। বাংলাদেশ জীবপ্রযুক্তি গবেষণায় বিশ্বমানে উন্নীত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এবং জাপানি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সার (JAXA) যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পরিচালিত এশিয়ান হার্বস ইন স্পেস প্রকল্প। এতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এবং পরবর্তী সময়ে এনআইবির গবেষণাগারে এ-সংক্রান্ত গবেষণার সুযোগ নিঃসন্দেহে এনআইবির চলমান গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।
মহাকাশে পাঠানোর সময় ঠিক একই রকম ধনিয়া বীজের কন্ট্রোল নমুনা সংরক্ষণ করা হয় এনআইবির গবেষণাগারে। মহাকাশ ঘুরে আসা ধনিয়া বীজের সঙ্গে কন্ট্রোল ধনিয়া বীজের তুলনামূলক সব বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত থেকে বোঝা যাবে, এসব বীজে কোনো ধরনের ফিজিওলজিক্যাল ও মলিকুলার পরিবর্তন হয়েছে কি না। এসব তথ্য পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব, বিস্তার এবং ভবিষ্যতে মহাকাশেও ফসল ফলানোর সম্ভবনা বাড়াবে। পাশাপাশি না জানা অনেক প্রশ্নের উত্তর এনে দিতে পারে।
সংস্থাটির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কেশব চন্দ্র দাস বলেন, মহাকাশ জীববিজ্ঞান সম্পর্কিত এই গবেষণায় দেশের নবীন শিক্ষার্থীদেরও যুক্ত করা হবে। এই গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থী এবং গবেষকরা ভবিষ্যতে মহাকাশ জীববিজ্ঞান-সম্পর্কিত গবেষণায় প্রভূত অবদান রাখতে পারবে।
