বান্দরবান সীমান্তের ওপারে আবারো গোলাগুলি, আতঙ্ক
সাদাকালো নিউজ
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন ফের শুরু হওয়া সহিংসতা সীমান্তে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। রাখাইনে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবিতে লড়াইরত সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মিকে দমাতে হামলা চালাচ্ছে দেশটির জান্তা।
এদিকে সীমান্তের ওপারে মাস খানেক ধরে থেমে থেমে চলা এ হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত ঘুমধুম ও তমব্রু সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা। এরইমধ্যে দেশটির সামরিক বাহিনীর ছোড়া গোলা দুদফায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়েছে। দুবারই মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মো‘কে ডেকে এর কড়া প্রতিবাদ জানায় ঢাকা।
থেমে থেমে হামলায় অস্থির সীমান্তে আবারো উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত এলাকার মিয়ানমার অংশে বৃহস্পতিবার আবারো গোলাগুলি শুরু হয়। এদিন সকাল ৮টা থেকে তুমব্রু সীমান্তে ভারী গুলির শব্দে স্থানীয়দের মধ্যে আবারো উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো.জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, প্রায় এক মাস ধরে সীমান্তজুড়ে গোলাগুলি চলছে। আজ সকাল থেকে আবারো গুলির শব্দ পাওয়া গেছে। মনে হচ্ছে সীমান্তে মর্টরশেল ছুঁড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে গুলির শব্দে তুমব্রু সীমান্ত কেঁপে উঠে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সকালে হঠাৎ পুরো ঘরবাড়ি কেঁপে উঠে। প্রথমে ভেবেছি ভূমিকম্প তবে কিছুক্ষণ পর বুঝলাম এটি মিয়ানমারের মর্টারশেল ছোঁড়ার আঘাতের শব্দ। এখন নিয়মিত গোলাগুলি হয়, আমাদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বিষয়টি শুনেছি। খোজঁ খবর নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে এ বিষয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজির) এর পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে বিজিবি সদর দপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান জানিয়েছেন, ‘আমরা তথ্য পেয়েছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’