ব্যাপক দরপতন ডিজেল-গ্যাস অয়েলের
সাদাকালো নিউজ
আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাস অয়েল ও ডিজেলের দাম ব্যাপক কমেছে। বিশ্বজুড়ে অর্থনীতি মন্থর হয়েছে। ফলে জ্বালানি পণ্য দুটির নিম্নমুখিতা তৈরি হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
চলতি বছরের ৪ এপ্রিল ইউরোপিয়ান বেঞ্চমার্ক প্রতি টন গ্যাস অয়েলের আগামী ডিসেম্বরের সরবরাহ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭৩৭ ডলারে। গত ৩ জানুয়ারি যা ছিল ৭৭৬ ডলার। ২০২২ সালের ৯ জুন তা ৯০৬ ডলারে ওঠে।
অপরিশোধিত পেট্রোলিয়ামের তুলনায় গ্যাস অয়েলের দর দ্রুতগতিতে কমছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় জ্বালানি পণ্যটির সংকট হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা ম্লান হয়ে গেছে। ফলে মূল্য হু হু করে হ্রাস পাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক টনপ্রতি ডিজেলের দাম স্থির হয়েছে ২০৫ ডলারে। ২০২৩ সালের শুরুতে যা ছিল ২৬১ ডলার। আর গত বছরের ১৩ অক্টোবর তা ছিল ৩১৬ ডলার।
মার্কিন মুলুকে শিল্প-কারখানায় বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড কমেছে। ২০২২ সালের নভেম্বরের পর থেকে টানা ৫ মাস তা হ্রাস পাচ্ছে। ইনস্টিটিউট ফর সাপ্লাই ম্যানেজমেন্টের (আইএসএম) ক্রয় জরিপে এ পরিসংখ্যান উঠে এসেছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি সমুদ্রপথে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আমদানি নিষিদ্ধ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। এতে ইউরো অঞ্চলে রুশ জ্বালানি পণ্য বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
তবে বসে থাকেনি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রশাসন। বিকল্প রপ্তানি অঞ্চল সন্ধান করে তারা। পরে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায় তেল-গ্যাস বিক্রি বাড়ায় রাশিয়া। ফলে বিশ্ববাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। এতে দামও নিম্নমুখী হয়।
সরাসরি রুশ তেল ও গ্যাস কিনছে না ইউরোপের দেশগুলো। তবে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকায় পরিশোধিত হওয়া সেই জ্বালানিই ক্রয় করছে তারা। ফলে বিশ্বের কোনো স্থানেই সংকট সৃষ্টি হচ্ছে না।
তেল-গ্যাস শোধনে এগিয়ে আসছে অসংখ্য পরিমোধন কোম্পানি। ফলে মজুতও বাড়ছে। সবমিলিয়ে ডিজেল, পেট্রোল, গ্যাস অয়েলের দরপতন ঘটছে।