৪২ জনের মধ্যে একমাত্র নারী প্রার্থী লাজুক
সাদাকালো নিউজ
রাশেদা আক্তার লাজুক। মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরুনোর আগেই অভিনয়ে অভিষেক হয়েছিল এই চিত্রনায়িকার। ১৯৯৪ সালে চাষী নজরুল ইসলামের পরিচালনায় ‘আজকের প্রতিবাদ’ নামের ছবি দিয়ে অভিষেকেই বাজিমাত করেছিলেন তিনি। এরপর ধীরে ধীরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
এরপর জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করে কিছুটা বিরতি নিতে হয়েছিলো লাজুককে। সেই বিরতি কাটিয়ে ফের অভিনয়ে ফেরেন। ছোটপর্দায় নাম লেখানোর পর এ মাধ্যমে বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কয়েক বছর নাটকে অভিনয় করার পর অভিনয় থেকে একেবারেই বিদায় নেন তিনি। শুরু হয় তার নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অভিযান।
বর্তমানে নির্মাণে নিয়মিত লাজুক। বর্তমানে তার পরিচালনায় নির্মাণাধীন রয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘টু-লেট: বাসা ভাড়া হবে’। সম্প্রতি শেষ হয়েছে লাজুক পরিচালিত তারকাবহুল ৩০৯ পর্বের ‘পরিবার’ ধারাবাহিক নাটকটি। এতে একঝাঁক তারকা শিল্পী অভিনয় করেছেন। নাটকটির জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও নাট্যকার হিসেবে পুরস্কৃতও হয়েছেন তিনি।
লাজুক দেশের একমাত্র নারী নাট্যকার, যার প্রায় আড়াই হাজার পর্বের মতো বিভিন্ন ধারাবাহিক প্রচার হয়েছে। অসংখ্য একক নাটক প্রচার হয়েছে। তার অধিকাংশ নাটকই দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। লাজুক দেশবরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেনের বড় সন্তান প্রযোজক, নির্মাতা ও অভিনেতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের স্ত্রী।
টিভি নাটক নির্মাতাদের সংগঠন ‘ডিরেক্টরস গিল্ড’। আগামী ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এর নির্বাচন। এতে মোট ৪২ জন নির্মাতা প্রার্থী হয়েছেন। এরমধ্যে কেবল একজন প্রার্থী নারী, বাকি সবাই পুরুষ। নারীর প্রতিনিধিত্বকারী সেই নির্মাতা হলেন রাশেদা আক্তার লাজুক।
সদা হাসিখুশি সহজ সরল এই মানুষটি এর আগেও নির্বাচিত হয়েছিলেন। সংগঠনটির কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অর্জন করেছিলেন সবার ভালোবাসা। সংগঠনের জন্য কিছু একটা করার দায়বদ্ধতা থেকেই লাজুক এবার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন।
নতুন নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রসঙ্গে লাজুক বলেন, আগে একবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেছিলাম। নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। মাঝে আর অংশ নেয়া হয়নি। তবে এবার উপলব্ধি করলাম, আবার নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিত। নির্মাতাদের উন্নয়ন, সংগঠনকে এগিয়ে নেয়া ও সার্বিক বিষয় বিবেচনা করেই আমি প্রার্থী হয়েছি।
লাজুক আরও বলেন, নির্মাতাদের কল্যাণে কাজের সুযোগ চাই। পরিচালক হচ্ছে ক্যাপ্টেন অব দ্যা শিপ। সেই ক্যাপ্টেনই তো নিরাপদ গন্তব্যে নিয়ে যাবেন। তাই পরিচালকদের স্বার্থ সংরক্ষণ, সম্মান এবং কাজের স্বাধীনতার জন্য নির্বাচনে আসা। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। কারণ, সদস্যরা আমাকে ভালোবাসেন, তার প্রমাণ বিগত দিনেও পেয়েছি।
লাজুক আশ্বাস দেন, আমি নির্বাচিত হলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নির্মাতাদের সেই অবস্থান ফিরিয়ে আনবো।’ তিনি বলেন, ‘আমার দর্শনে কোনো নির্মাতা ছোট-বড় নেই। শুধু কন্টেন্টের পার্থক্য হয়। আমি পরিচালকের পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সংগঠনকে এগিয়ে নেব।