হিরো আলমের নির্বাচন নিয়ে এ-কী বললেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর
সাদাকালো নিউজ
বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন হিরো আলম। মাত্র ৮৩৪ ভোটে রেজাউল করিম তানসেনের কাছে পরাজিত হন তিনি। হেরে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন আশরাফুল আলম। আইনী ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেছেন।
ফেসবুক-ইউটিউবের এই ভাইরাল তারকার অভিযোগ, সংসদ সদস্য হলে আমাকে স্যার ডাকতে হবে, এ জন্য কিছু শিক্ষিত মানুষ আগে থেকেই আমাকে মানতে পারছিল না। এরাই ফলাফল পাল্টে আমাকে পরাজিত করেছে।
এদিকে হিরো আলমের নির্বাচন নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। হিরো আলমের পেজে দেয়া এক ভিডিওবার্তায় নূর বলেন, হিরো আলমের নির্বাচন ঘিরে সব জায়গায় শোরগোল পড়েছে। সে একদম প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা একজন লোক। তার উচ্চ শিক্ষা নেই, তেমন অর্থবিত্ত নেই। তিনি বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছেন, অভিনয় করেছেন। নানা কারণেই তিনি আলোচনায় আছেন।
ভিপি নূর বলেন, নির্বাচনের দিন পত্রপত্রিকায় হিরো আলমের জয় জয়কার ছিলো। কিন্তু জিতে গিয়েও আবার দেখলাম, তিনি হেরে গেলেন। লজ্জা ঢাকতে বিজয়ী হিরো আলমকে পরাজিত করা হয়েছে। এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের চেহারা, এটাই তাদের ইতিহাস।
হিরো আলমকে স্যালুট জানিয়ে নুরুল হক নূর বলেন, এই ভদ্র সমাজকে জুতা মেরে হিরো আলম দেখিয়েছে- মুখোশধারি, ভদ্র তথাকথিত এই সুশীল সমাজের লোকদের দিয়ে এই দেশ আর চলছে না। এদের ব্যর্থতার কারণেই হিরো আলমদের উত্থান হয়েছে।
এর আগে গের পহেলা ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ আসনে মহাজোটের প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেন মশাল প্রতীকে নির্বাচন করে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পান। অন্যদিকে, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম একতারা প্রতীকে পান ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট।
এছাড়াও বগুড়া-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন আব্দুল মান্নান। এ আসনেও হেরেছেন হিরো আলম।
বগুড়ার প্রত্যন্ত এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা বহুল আলোচিত হিরো আলম। এক সময় সিডি বিক্রি করতেন। সিডি যখন চলছিল না তখন ডিশ সংযোগের ব্যবসা শুরু করেন। শৈশবে চানাচুরও বিক্রি করেছেন। ২০০৮ সালে মডেলিং পেশায় নিয়োজিত হন তিনি।
এরপর হিরো আলম পরিচিতি পান নানারকম ফানি কনটেন্ট ও মিউজিক ভিডিও বানিয়ে। একাধিক সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন হিরো আলম। তিনি আলোচিত যেমন হয়েছেন, নানাভাবে হয়েছেন বিতর্কিতও।