হাকালুকি হাওরে হঠাৎ ‘প্রলয়ঙ্করী’ টর্নেডো
সাদাকালো নিউজ
সিলেট-মৌলভীবাজারের ছয় উপজেলাজুড়ে বিস্তৃত এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকি। সাম্প্রতিক বন্যায় হাকালুকি পানিতে টইটম্বুর। মিনি কক্সবাজারখ্যাত হাকালুকিতে অল্প বাতাসেও দেখা যায় ঢেউয়ের গর্জন। এবার এ হাওরে দেখা মিললো প্রলয়ঙ্করী টর্নেডোর।
২৩ জুলাই সন্ধ্যার দিকে হাকালুকি হাওরের বড়লেখা উপজেলা অংশের চাতল বিল এলাকায় এ দৃশ্য দেখতে পান তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়রা জানান, তৈরি হওয়া টর্নেডোতে হাকালুকির পানি জোয়ারের মতো টেনে আকাশে তুলে নেয়। এ সময় আকাশ কালচে বর্ণ ধারণ করে। আকাশে তৈরি হয় পানির পিলারের মতো স্তম্ভ। একইসঙ্গে বিজলী আর গর্জন করতে থাকে। হাওরে নৌকা নিয়ে থাকা অনেকে সেটি দেখে ভীত হয়ে তীরে চলে আসেন। ঘণ্টাখানেক থেকে পরে অন্ধকারে বিলীন হয়ে যায় এটি।
৫০ বছরের মধ্যে হাওরে এমন দৃশ্যের দেখা মেলেনি বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এমন দৃশ্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এটির দ্বারা কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা এটিকে কুদরতের নিশানা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পানি দিয়ে মোড়ানো বাতাসের তৈরি টর্নেডোর ফলে এটি সৃষ্টি হয়। জলভাগের ওপর শক্তিশালী টর্নেডো সৃষ্টি হলে প্রবল বেগে ঘূর্ণমান বায়ুর টানে জলভাগের জল টর্নেডোর কেন্দ্র বরাবর স্তম্ভাকারে ঘুরন্ত অবস্থায় ওপরে উত্থিত হয়। একে জলস্তম্ভ বলে। তবে গ্রামাঞ্চলে এটি ‘মেঘশূর’ নামে পরিচিত।