হাইকোর্টে জাহাঙ্গীর ইসিতে আজমত!
সাদাকালো নিউজ
ঋণ খেলাপির দায়ে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরের অভিযোগ, তার ওপরে অন্যায় করা হয়েছে। ন্যায়বিচার পেতে তিনি আপিলও করেন। নির্বাচন কমিশন সেই অপিলও খারিজ করে দিয়েছেন। এবার উচ্চ আদালতে রিট করেছেন আওয়ামী লীগের এই বিদ্রোহী প্রার্থী।
রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়েছে। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট একটি দ্বৈত বেঞ্চে এ রিটের ওপর শুনানি হওয়ার কথা হয়েছে।
এর আগে ৩০ এপ্রিল যাচাই বাছাই শেষে ঋণখেলাপির অভিযোগে জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন গাজীপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরের করা আপিল নামঞ্জুর করেন ঢাকা বিভাগীয় নির্বাচন কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম। ফলে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিলে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। তবে আলোচিত এই নির্বাচনে মেয়র পদে জাহাঙ্গীর মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ায় ভোটের মাঠে এখনও রয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরশেন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর আলম। তবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ।
এরপর জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে জাহাঙ্গীরকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে ক্ষমতাসীন দল।
অন্যদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের দলীয় মেয়রপ্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান। রোববার তাকে হাজির হতে হবে নির্বাচন কমিশনে। নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কমিশনে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে তাকে।
এর আগে ইসির আচরণবিধি ভঙ্গের দেয়া চিঠির বিষয়ে আজমত উল্লা খান জানান, তিনি প্রকাশ্যে কোনো মিটিং-মিছিল করেননি। যেটা করেছেন সেটা ঘরের ভেতরে। সেটা নির্বাচনি কোনো বৈঠক নয় সাংগঠনিক রুটিন ওয়ার্ক।
আজমত উল্লা দাবি করেন, প্রতিমাসেই আওয়ামী লীগের যেমন সভা হয়ে থাকে, এটিও ছিল ওই ধরনের একটি বর্ধিতসভা। আর বর্ধিতসভায় শুধু আওয়ামী লীগ নয়, সহযোগী সংগঠনের নেতারাও থাকেন।
সবকিছু মিলিয়ে গাজীপুর সিটির ভোটারদের নজর এখন এই দুজনের দিকে। তাদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়, তা জানার জন্য অপেক্ষায় আছেন সিটির ভোটাররা।