সুলতান’স ডাইনে তদন্ত করে কী পেল ভোক্তা অধিদপ্তর?
সাদাকালো নিউজ
রাজধানীর জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট সুলতান’স ডাইন। এই রেস্টুরেন্টের গুলশান শাখার কাচ্চি বিরিয়ানির মাংস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এক ভোক্তা। এরপর তা নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে ব্যাখ্যাও দিয়েছে সুলতান’স ডাইন কর্তৃপক্ষ। এরপরও সেখানে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সোমবার সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে অন্য কোনও প্রাণির মাংস ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে শুনানি করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানিতে সুলতান’স ডাইনের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলেও অভিযোগকারী ব্যক্তিকে খুঁজে পায়নি ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এদিন দুপুরে একথা জানান প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
প্রতিষ্ঠানটির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্দেহযুক্ত চিকন হাড়ের ব্যাপারে সুলতান’স ডাইন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৭ থেকে ৯ কেজি ওজনের খাসির মাংস তারা ব্যবহার করেন এবং আকারে ছোট হওয়ায় সকল খাসির হাড় চিকন হয়। এছাড়া যে মোবাইল নম্বর থেকে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ দেয়া হয়েছিল সেটা বন্ধ পাওয়া গেছে।
খাসি বাদে অন্য প্রাণির মাংসের ব্যবহার সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সুলতান‘স ডাইনকে অন্য প্রাণির মাংস ব্যবহারের অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেয়া যেতে পারে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়।
সফিকুজ্জামান বলেন, ‘রেস্টুরেন্টের পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে ভোক্তা আইনের কোনও ব্যতয় আমরা পাইনি। এছাড়া সেদিন অভিযানে মাংস সংগ্রহ করতে পারিনি। তবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ তাদের মাংস সংগ্রহ করেছে এবং তারা সেটি পরীক্ষা করছে।’
সফিকুজ্জামান বলেন, সুলতান’স ডাইনের বিষয়ে আমাদের কোনো মতামত দিতে পারি না। কারণ, আমাদের কাছে কোনো স্যাম্পল নেই এবং টেস্ট করানোর সুযোগ নেই। এটি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ টেস্ট করাবে। তাদের সঙ্গে কথা বললে আপনারা জানতে পারবেন।
সুলতান’স ডাইনের মতো ঢাকায় আরও যত বড় প্রতিষ্ঠান আছে তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলেও জানান অধিদফতরের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ‘মাংসের ক্ষেত্রে সেটি কোথা থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে সেটির রেকর্ড রাখতে হবে। হালাল প্রক্রিয়ায় মাংস সংগ্রহ করতে হবে।’