সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে কেন মামলা করছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ?
সাদাকালো নিউজ
সুলতানস ডাইনের বিরুদ্ধে খাসির বদলে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে অব্যাহতি দেয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তবে মাংস কেনার যথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
নিরপাদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মোহাম্মদ রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, মাংসের স্যাম্পল কালেকশনের সুযোগ পাওয়া যায়নি। এ কারণে মাংস সম্পর্কে জানার আর সুযোগ নেই। তবে মাংস কেনার রশিদ না থাকায় সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
এর আগে খাবারে খাসির মাংসের বদলে অন্য প্রাণীর মাংস দেয়ার অভিযোগ থেকে সুলতান’স ডায়েনকে অব্যাহতি দেয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। এ বিষয়ে তাদের কোনো মতামত নেই বলেও জানানো হয়।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপলিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানান, সুলতান’স ডাইনের বিষয়ে আমাদের কোনো মতামত নেই। কারণ, আমাদের কাছে কোনো স্যাম্পল নেই এমনকি টেস্ট করানোরও কোনো সুযোগ নেই। এটি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ দেখছে।
সুলতান’স ডাইনে অভিযান চালানোর বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ায় আমরা সেখানে অভিযান চালায়। তবে আইন অনুযায়ী কোনো সমস্যা সেখানে পাওয়া যায়নি।
এর আগে ৮ মার্চ ফেসবুকে সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানির মাংস নিয়ে তুমুল হইচই পড়ে যায়। আর অভিযোগটি তুলেন কনক রহমান খান নামের এক নারী ভোক্তা। ফেসবুকে তিনি লেখেন, গুলশানের সুলতান’স ডাইন থেকে সাত প্যাকেট খাবার কেনেন তিনি। পরে খাবার সময় মাংসের হাড় দেখে তার সন্দেহ হয়।
তার অভিযোগ, এটা অবশ্যই খাসির মাংস না। কারণ খাসির হাড় এমন চিকন হয় না। তিনি দাবি করেন, সুলতান’স ডাইনে খাসির পরিবর্তে বিড়ালের মাংস দেয়া হয়েছে। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পরে সেই পোস্ট।
এ বিষয়ে সুলতান’স ডাইন গুলশান ব্রাঞ্চের ম্যানেজার কামাল আহমেদ বলেন, অভিযোগকারীরা কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য ১০ হাজার টাকা দাবিও করা হয়েছিলো। আমরা তাদের টাকা দিতে রাজি হয়নি। পরে তারা অন্য ব্যবস্থা নেবে বলে হুমকি-ধামকি দেয়।
এদিকে ৫ তারিখে দেয়া সেই পোস্টটি সরিয়ে ফেলেছে অভিযোগকারী। এমনকি ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না অভিযোগকারী কনক রহমান খানকে। নিজের অ্যাকাউন্টও ডিঅ্যাকটিভ করে রেখেছেন ওই নারী।