সুইজারল্যান্ডে কুলসুমের জীবন কেমন?
সাদাকালো নিউজ
পরিবার-পরিজন ছাড়াই পার করেছেন জীবনের ৪৫টি বছর। এই সময়ে আবছা স্মৃতিতে খুঁজে বেড়িয়েছেন হারিয়ে যাওয়া আপনজনদের। ক্লান্ত হয়ে কেঁদেছেন নিভৃতে। তবে হাল ছাড়েননি। ৪৫ বছর পর হলেও খুঁজে বের করেছেন পরিবারের সদস্যদের।
গত শুক্রবার ম্যারিও নামে এক নারী সুদূর সুইজারল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে ফেরেন শেকড়ের টানে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শেখেরটেকে থাকা পরিবারের কাছে। মায়ের বুকে। এই ম্যারিও-ই মাফিয়া বেগমের হারিয়ে যাওয়া মেয়ে কুলসুম।
২৩ জুলাই ১৯৭৭ সালে কুলসুমের নাম পরিবর্তন করে কুলসুম মারজুকা রেখে সব নিয়ম মেনে তাকে নিয়ে যায় সুইজারল্যান্ডে। এরপর থেকে বিদেশ বিভূঁইয়ে কাটতে থাকে কুলসুমের দিনকাল।
কুলসুমের বয়স এখন ৫০-এর কাছাকাছি। মায়ের ভাষা বাংলা বলা ভুলে গেছেন। সুইজারল্যান্ডের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক আন্দ্রে ম্যারিয়োকে বিয়ে করেছেন। কুলসুমও পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন শিক্ষকতাকে।
সুইজারল্যাণ্ডে যে পরিবারে কুলসুম বড় হয়েছেন সেই পরিবারে মোট ভাইবোনের সংখ্যা চার। বাংলাদেশ থেকে কুলসুম এবং তাঁর ছোট বোন সম্মেহেরের পাশাপাশি তাঁদের পালক বাবা-মা ভিয়েতনাম থেকে আরও দুইটি সন্তান দত্তক নেন। সেই হিসেবে সুইজারল্যান্ডে কুলসুমেরা তিন বোন, এক ভাই।
কুলসুম-আন্দ্রের সংসারে একমাত্র সন্তান মেলিসার বয়স ২৩ বছর। ডাকনাম মিলো। মেয়েটি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে।
এদিকে, বিদেশে বিলাসী জীবন থাকলেও, এতদিন শূণ্যতায় ভরা ছিল কুলসুমের মন। স্বজনদের থেকে দূরে থাকার হাহাকার তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছিল। দীর্ঘ সময় পরিবারের শূন্যতা অনুভব করে বারবার স্মৃতিতে শুধু খুঁজে বেড়িয়েছেন মাকে।