সিলেটের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান দাবি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিমার!
সাদাকালো নিউজ
আর দুই দিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন। শেষ মুহূর্তে ভোটারদের কাছে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি নিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থিরা। সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনিই সিটির নগর পিতা হতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে ‘সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইলেকশন মেন্যুভারিং আর্কিটেকচার’ নামে ইউরোপভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। সিমার দাবি তারা ‘ওয়াইজ গভ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ‘সিস্টার কনসার্ন’।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, সিলেট সিটিতে মেয়র হিসেবে জয়ী হবেন নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থেকে প্রায় একলাখ ভোট বেশি পাবেন। এবারি প্রথম তারা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কাজ করছে। দীর্ঘ ৫২ দিন গবেষণার পর তারা সিলেট সিটি নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী গবেষণা দলের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন এস শাকির। এছাড়া সিলেটে স্থানীয়ভাবে গবেষণায় কাজ করেছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জহির উদ্দিন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক দিহান হাসান ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির ডাটা অ্যানালিস্ট মো. মনিরুল ইসলাম।
২১ জুন অনুষ্ঠিত হবে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এখানে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেয়নি। বর্তমানে মাঠে আলোচনায় আছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। তিনি ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি। এ নির্বাচনে এবার পুরুষ ও মহিলা মিলে ৩৬০ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের কারণে এবার ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে জমজমাট নির্বাচন।
সিমার গবেষণায় বলা হয়েছে, পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে সিলেট সিটিকে বেছে নিয়েছে তারা। যার প্রধান লক্ষ্য ভোটার ডাইভারসিটি। সিলেটে প্রধান দলগুলো পাশাপাশি ফুলতলী, কওমী, পীরপন্থি, সংখ্যালঘু, মনিপুরি এবং প্রায় অর্ধেক ভোটার সিলেটের আদিবাসি নন। তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাইগ্রেট করে পেশাগত কারণে সিলেটের ভোটার হয়েছেন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, মেয়র নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এই জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। সিলেটের ৪২টি ওয়ার্ডে তারা কাজ করেছে। যেখানে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৫৮৬ জন।
গবেষকরা দাবি করেছেন, জরিপ অনুযায়ী সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সর্বমোট ভোট কাস্ট হবে শতকরা ৪৪ শতাংশ থেকে ৫১ শতাংশ। যা ভোটার হিসাব করলে ২ লাখ ১৪ হাজার ২৫০ জন থেকে ২ লাখ ৪৮ হাজার জন। এই ভোট কাস্টিং হলে- নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পাবেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৫০ ভোট। আর লাঙল পাবে ২৫ হাজার থেকে ৩৩ হাজার ভোট।
গবেষণায় বলা হয়েছে, রাজনৈতিক মেরুকরণের কারণে ভোটের হিসাব নিকাশে পরিবর্তনও আসতে পারে। তবে সার্বিক বিবেচনায় নৌকার প্রার্থী একলাখ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে থাকবেন বলে জরিপের ফলাফলে ধারণা করা হয়েছে।
বিদেশি সংস্থার ফলাফলে নির্বাচনে এগিয়ে থাকার বিষয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী জানান, চারদিকে মানুষের বিপুল সমর্থন পাচ্ছেন। সিমার জরিপেও উঠে এসেছে নগরবাসীর ইচ্ছার প্রতিফলন। ২১ জুন নৌকা বিপুল ভোটে জয়ী হবো।