সিরিয়ায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, সেনা আহত ২২
সাদাকালো নিউজ
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ২২ মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন। গত রোববার এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। অবশ্য এই দুর্ঘটনার কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
এছাড়া আহত মার্কিন সেনাদের শারীরিক অবস্থাও প্রকাশ করা হয়নি। মঙ্গলবার (১৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গত রোববার হেলিকপ্টার ‘দুর্ঘটনায়’ ২২ জন মার্কিন সেনা সদস্য আহত হয়েছেন বলে মার্কিন সামরিক বাহিনী সোমবার রাতে জানিয়েছে। মার্কিন বাহিনী অবশ্য দুর্ঘটনার কারণ প্রকাশ করেনি বা আহত সেনাদের আঘাতের মাত্রার বিশদ বিবরণও সামনে আনেনি।
মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর আহত ১০ জন সেনা সদস্যকে ওই অঞ্চলের বাইরে ভালো চিকিৎসা সেবা সম্পন্ন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন থাকা মার্কিন সৈন্যদের তত্ত্বাবধান করে থাকে মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড। তারা বলেছে, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে শত্রুদের কোনও গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়নি। তবে দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত করা হচ্ছে।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আরও তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তারা সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, সিরিয়ায় প্রায় ৯০০ মার্কিন সেনা সদস্য মোতায়েন রয়েছে। আর এসব সেনাদের বেশিরভাগই ইসলামিক স্টেটের অবশিষ্টাংশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসাবে দেশটির পূর্বাঞ্চলে অবস্থান করছে।
অবশ্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের হাতে আমেরিকান সেনারা বারবার হামলার শিকার হয়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে সিরিয়ায় হামলা এবং পাল্টা হামলার ঘটনায় ২৫ মার্কিন সেনা আহত হয়েছিল।
সেসময় একজন মার্কিন ঠিকাদার নিহত এবং অন্য একজন আহত হয়েছিলেন।
জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় ওবামা প্রশাসনের অধীনে মার্কিন বাহিনীকে সিরিয়ায় প্রথম মোতায়েন করা হয়েছিল। মূলত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স নামক কুর্দি নেতৃত্বাধীন একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সেখানে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়।
এরপর বহুপক্ষীয় সমন্বিত নানা পদক্ষেপ ও অভিযানের পর আইএসকে দমন করা হয়। যদিও গোষ্ঠীটিকে এখনও পুরোপুরি নির্মূল করা যায়নি। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, আইএস এখনও একটি বড় হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে।
অবশ্য সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ইরান ও রাশিয়ার সহায়তার ওপর নির্ভর করে থাকেন এবং তার দেশে আমেরিকান সৈন্যদের অবস্থানকে দখলদার হিসাবে বিবেচনা করেন।