সময়মতো হাসপাতালে নিলে বেঁচে থাকতো আলী হোসেন!
সাদাকালো নিউজ
সরকারি বিজ্ঞান কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলী হোসেন। পড়ালেখা শেষ করে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। কোচিংয়ে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে বাসায় সে ফিরেছে নিথর দেহে। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ মা। ছেলের ছবি বুকে জুড়িয়ে ক্ষণে ক্ষণে কেঁদে উঠছেন।
এদিকে আলী হোসেনের ঘটনায় পুলিশের হাতে ধরে পড়েছে মাইক্রোবাসের চালক। আজ সোমবার সকালে আশুলিয়ার বিশ মাইল এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়। ৫০ বছর বয়সী ওই চালকের নাম জিয়াউল হক। মাইক্রোবাসটিকেও জব্দ করেছে পুলিশ।
আলী হোসেনের এমন চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না তাঁর সহপাঠীরাও। ফার্মগেটে সড়ক আটকে বিক্ষোভ করেছেন। আর অকালে ছেলের এমন চলে যাওয়ায় স্তব্ধ আলী হোসেনের বাবা।
পুলিশ জানায়, মহাখালীর দিকে থেকে আসা মাইক্রোবাসটি ছেলেটিকে ধাক্কা দেয়। গাড়ির সামনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের স্টিকার লাগানো ছিল। মাথায় আঘাত পেয়ে ছেলেটি রাস্তায় ছিটকে পড়ে। এরপর গাড়ির গতি বাড়িয়ে দ্রুত এলাকা ছেড়ে সাভারের আশুলিয়ায় চলে যান জিয়াউল। সেখানে গিয়ে আত্মগোপন করেন।
তাজোয়ার রহমান নামে আলী হোসেনের এক বন্ধু জানায়, ‘গাড়িটি ধাক্কা দেয়ার পর আমার বন্ধু ১৫ মিনিটের মতো রাস্তায় পড়ে ছিলো। কেউ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। সময়মতো হাসপাতালে নেয়া হলে আলী হোসেন হয়তো আমাদের মাঝে থাকতো।’