শো’তে যাওয়ার সময় নামাজ পড়তেন নোবেল, জানালেন সাবেক স্ত্রী
সাদাকালো নিউজ
নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং বেফাঁস মন্তব্য করে প্রায়ই আলোচনায় আসেন ‘সারেগামাপা’ খ্যাত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। সম্প্রতি তার অসংলগ্ন আচরণে পণ্ড হয়ে গেছে কুড়িগ্রাম ডিগ্রি কলেজের সূর্বণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান। অসংলগ্ন আচরণের কারণে দর্শকের জুতার ঢিলও হজম করতে হয়েছে তাকে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পরা ভিডিও ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ৫০তম সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে গায়ক নোবেলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ২৭ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে তার গান গাওয়ার কথা থাকলেও তিনি স্টেজে উঠেন রাত ১১টা ২০ মিনিটে।
অনুষ্ঠান চলাকালীন এক পর্যায়ে নোবেল অসংলগ্ন আচরণ শুরু করলে মঞ্চের সামনে থাকা দর্শকরা তাকে জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে মারেন। নোবেলের এমন কর্মকাণ্ড মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।
নোবেলের বিতর্কিত এই কর্মকাণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন তার স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতাশ করেছেন নিজের প্রতিক্রিয়া। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন নোবেলকে শুধরানোর অনেক চেষ্টা করেছেন তিনি।
২৮ এপ্রিল নিজের ফেসবুকে সালসাবিল লেখেন, সকাল থেকে শুরু করে ডজন খানেক নিউজ। সমস্যাটা যদি শারীরিক হত তাহলে মানুষ কমেন্টে দোয়ার মাহফিল বসাতো। কিন্তু সমস্যাটা মানসিক, তাও আবার না সেব্য পণ্য ঘটিত। নোবেল প্রথম দিকে এমন ছিলো না।
সালসাবিল আরও লেখেন, প্রথম দিকে কোনো শো-য়ে যাবার সময় গাড়ি দাঁড় করিয়ে নামাজ পড়তো নোবেল। সারেগামাপা অনুষ্ঠান চলাকালে পুরো শুটিং ইউনিটকে বসিয়ে রেখে নামাজ পড়েছিলো। শুধু তাই নয়, সবার সাথে অমায়িক ব্যবহারও করতো নোবেল।
নোবেলের এমন অধঃপতন নিয়ে সালসাবিল আরও লেখেন, প্রথম দিকের সেই মানুষটা এখন নিজের কার্যকলাপে নিজেকে চিনতে পারে না। এ যেন নিজের নিরহংকার রূপকে ঢেকে পরিবার ও ভক্তবৃন্দদের কাছে নিজের অস্বাভাবিক রূপ প্রকাশের দীর্ঘ প্রচেষ্টা।
এদিকে সালসাবিলের এমন পোস্টে নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। তার পরিচিত একজন মনে করেন, নোবেলকে সুধরাতে সালসাবিলি পারবেন। তিনি মন্তব্যের ঘরে লেখেন, তুমি ছাড়া কেউ তাকে ঠিক করতে পারবে না। জবাবে সালসাবিল লেখেন, অনেক চেষ্টা করেছি।
জানা যায়, এদিন মঞ্চে উঠে নোবেল তার চশমা খুলে পাঞ্জাবির কলারে রেখে কথা বলেন দর্শকদের সাথে। জানান, দ্বিতীয় বার তিনি কুড়িগ্রামে এসেছেন। এর আগে একবার আসলেও দেখা হয়নি দর্শকদের সাথে। ঘুরে গেছেন ভারতের সীমান্ত থেকে। একটু পরেই নোবেল- আমার চশমাটা কই বলে চিৎকার করে উঠেন। পরে চশমা পেয়ে ‘সে যে আমার জন্মভূমি’ গান পরিবেশন করেন।
গান শেষে নোবেল মঞ্চেই আছড়ে ভেঙ্গে ফেলেন মাইক্রোফোন স্ট্যান্ড। এরপর তিনি স্টেজে দু’পা তুলে প্যারেড করার মতো লাথি মেরে নিজের প্যান্ট ঠিক করে গান ধরেন ‘কারা রৌই লৌহ কপাট’। গাইতে গাইতে এক পর্যায়ে অসংলগ্ন আচরণ শুরু করেন তিনি। বসে পড়েন স্টেজের পাটাতনে। তার এমন কাণ্ডে ক্ষেপে যান দর্শকরা। জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে মারেন তার দিকে। পরে আয়োজকরা নোবেলকে স্টেজ থেকে সরিয়ে নিয়ে যান।