শেষ হলো কুলসুমের বাংলাদেশ-মিলন পর্ব
সাদাকালো নিউজ
শেষ হলো কুলসুম ও তাঁর স্বামী আন্দ্রে ম্যারিও’র বাংলাদেশ সফর। টানা ১৬ দিন পর ফিরে গেলেন সুইজারল্যান্ডে। শনিবার তারা সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ছেড়ে যান বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র।
দেশে থাকা ১৬ দিন কুলসুম ও তাঁর স্বামী বেশ উপভোগ করেন। দীর্ঘদিন পর মা-ভাই-বোনসহ অন্য স্বজনদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটান কুলসুম। মেতে উঠেন আড্ডা, গানে।
দেশি খাবার, দেশি পোশাক আর ঢাকার নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়ান কুলসুম। ক’দিন সঙ্গী হিসেবে ছিলেন ছোট বোন সম্মেহের ও তাঁর স্বামী। এরপর নিজের স্বামী আন্দ্রে ম্যারিওকে নিয়ে কুলসুম ঘুরে বেরিয়েছেন। নিজের পরিচয় ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করায় বাংলাদেশ পুলিশ এবং সিআইডিকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাদের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কুলসুম।
শৈশবের স্মৃতি খুঁজে বেড়াতে কুলসুম ছুটে যান বরিশালের ভোলায় নিজের জন্মভিটায়। সেখানে গিয়ে মাটির চুলায় নিজের হাতে রান্না করে খাওয়ান আত্মীয়দের। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে বহুদিন পর সাক্ষাতে আবেগে আপ্লুত হন কুলসুম। এমনকি এক পর্যায়ে নিজেদের বসতভিটায় বাবা কথা মনে পড়ে কুলসুমের। ভেঙ্গে পড়েন কান্নায়।
বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় সার্বক্ষণিক কুলসুমের দায়িত্ব পালন করেছেন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মুনজুরুল করিম। তাঁর তৈরি ভিডিও কনটেন্ট ভাইরাল হওয়ার ফলেই কুলসুমের স্বজন খুঁজে ফেরার কথা জানতে পারে পরিবার। পরে নানা ধাপ পেরিয়ে মায়ের বুকে ফেরেন কুলসুম।
জানা গেছে, ১৯৭৭ সালে ছয় সন্তান নিয়ে টানাপড়েনের সংসার ছিল মাফিয়া বেগমের। এ অবস্থায় দুই মেয়ে কুলসুম ও সম্মেহেরকে নিয়ে বরিশাল থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরে দেবরের বাসায় আসেন তিনি। মেয়েরা ভালো থাকবে এ আশায় মোহাম্মদপুরের একটি অনাথ আশ্রমে তাদের দিয়ে দেন মাফিয়া বেগম।