শান্ত জয়া’র কড়া বার্তা!
সাদাকালো নিউজ
বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনের একটি ব্রান্ড অভিনেত্রী জয়া আহসান। শান্ত ও মার্জিত হিসেবে যার সুনাম দুই বাংলাতেই। তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা সমালোচনা আর বিতর্ক হয়েছে। এখনো হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো ছবি পোস্ট করলে সেখানেও তাকে নানাভাবে ট্রল হতে হয়। কিন্তু সব পরিস্থিতিতেই নিজেকে শান্ত রাখেন জয়া। সেই জয়া এবার ক্ষেপে আগুন। দিলেন কড়া বার্তা।
গেল বছরে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন জয়া। সেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় বুলিং আর ট্রল নিয়ে নানা কথা বলেন দুই বাংলার খ্যাতিমান এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি তার সেই সাক্ষাৎকারটি আবারও ভাইরাল হয়েছে।
নিজের নামে হওয়া সমালোচনা আর কটাক্ষের জবাব দিতে গিয়ে সেখানে জয়া জানান, যদি কেউ চেহারা লুকিয়ে মন্তব্য করে তবে সেই মন্তব্যের দাম তিনি দেন না। সাহস থাকলে সামনাসামনি এসে সমালোচনা করার কথা বলেন তিনি।
অভিনেত্রী আরও জানান, বাজে মন্তব্য নিয়ে খুব বেশি ভাবেন না তিনি। এসব তার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে। আর যারা এসব মন্তব্য করে বেড়ায়, তারা নিজেরাই নিজেদের নেতিবাচক মানসিকতা সবার সামনে প্রকাশ করে ফেলে। যে কেউ যে কারো সম্পর্কে যেকোনো কিছু বলতেই পারে। কিন্তু সামনাসামনি বলতে গেলে সাহসের প্রয়োজন। যেটা সবার নেই।
১৯৯৮ সালে জয়া বিয়ে করেন তখনকার জনপ্রিয় মডেল ও জমিদার পরিবারের ছেলে ফয়সাল আহসানকে। ২০১১ সালে ভেঙে যায় সে সংসার। স্বামীর সঙ্গে প্রায় এক যুগ আগে বিচ্ছেদ হলেও এখনো তার নামের অংশ নিজের নামের সঙ্গে জুড়ে রেখেছেন জয়া। এ নিয়েও বিভিন্ন সময়ে তাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।
কলকাতার সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে পরিচালক সৃজিত মুখার্জীর সঙ্গে তার সম্পর্কের গুঞ্জন একসময় চর্চায় এসেছিল। তা নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী। এছাড়া তার বয়স নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। জয়া তার জন্মসাল ১৯৮৩ বলে দাবি করলেও উইকিপিডিয়ার তথ্যে আছে ১৯৭২ সাল। অর্থাৎ, সেই হিসেবে নায়িকার বর্তমান বয়স ৫১।
এর বাইরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সব সময় নানা সমালোচনা ও ট্রলের মুখে পড়তে হয় জয়াকে। অভিনেত্রী কোনো ছবি পোস্ট করলেই সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ে নেটজনতা। কেউ কেউ ইতিবাচক ও প্রশংসাসূচক মন্তব্য করলেও বেশিরভাগ কমেন্টই আসে নেতিবাচক।
যদিও কোনো মন্তব্যের পাল্টা জবাব কখনোই দেন না জয়া। চলেন নিজের মর্জিতে। কাজ করেন আপন গতিতে। তাকে নিয়ে কে কী ভাবল বা বলল- সেসব নিয়ে কেয়ার করেননা তিনি। কয়েক বছর ধরে দুই বাংলাতেই সমানে কাজ করে চলেছেন জয়া। দেশের পাশাপাশি কলকাতা থেকেও জিতেছেন একাধিক পুরস্কার। এ বছর আবার কাজ করেছেন বলিউডেও।