রুমিন ফারহানার ছেড়ে দেয়া আসনে আফরোজা কি এমপি নির্বাচিত হবেন ?
সাদাকালো নিউজ
আফরোজা হক রীনা। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সহ-সভাপতি। এছাড়াও তিনি জাসদের সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর স্ত্রী। আফরোজা হক রীনার জন্ম ১৯৫১ সালের ৫ অক্টোবর ঢাকার নবাবগঞ্জে। তিনি ইডেন কলেজে পড়াকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত হন।
১৯৬৯ সালে ছাত্রী সংসদ নির্বাচনে সমাজ সেবা সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন আফরোজা হক রীনা। এরপর ১৯৭৫ সালে হাসানুল হক ইনুর সাথে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৯৮ সালে জাসদের কাউন্সিলে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসেন তিনি।
বিএনপির রুমিন ফারহানার পদত্যাগে সংসদে শূন্য হওয়া সংরক্ষিত নারী আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাসদের এই সহ-সভাপতি। ২৮ ফেব্রুয়ারি আগাগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির যুগ্নসচিব ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেনের কাছে আফরোজা হক রীনা মনোনয়নপত্র জমা দেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বাতেন জানান, আওয়ামী লীগের প্যাডে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আফরোজা হক রীনা। মনোনয়নপত্র জমার সময় জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার ও দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ইসির তফসিল অনুযায়ী, এই উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাই দোশরা মার্চ। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৬ মার্চ। এরপর ২০ মার্চ ভোট অনুষ্ঠিত হবে। একজন প্রার্থী হওয়ায় আফরোজা হক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। বাছাইয়ে প্রার্থিতা বৈধ হওয়ার পর প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেলেই ওই আসনে নির্বাচিতর নাম ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করবে ইসি সচিবালয়।
বিএনপির ৭ সংসদের পদত্যাগের পর ছয়টি শূণ্য আসনে পহেলা ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ তিনটি, জাসদ একটি, জাতীয় পার্টি একটি এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থী একটিতে জয়লাভ করেছে। বাকি আছে শুধু সংসদের সংরক্ষিত আসনে বিএনপির রুমনি ফারহানা পদত্যাগের পর শূণ্য হওয়া আসনটি।
৬ আসনের উপনির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নারী আসনটি আওয়ামী লীগ পেলেও তারা জাসদকে ছেড়ে দিয়েছে। আর জাসদ আফরোজা হক রীনাকে মনোনয়ন দিয়েছে। জোটের শরিকের এ প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরাসরি ভোটে জেতা জাসদের তিনটি আসন রয়েছে। এবার যুক্ত হচ্ছে সংরক্ষিত একটি আসন।