রুচি বদলানোর চেষ্টা করছি সবাই দোয়া করবেন!
সাদাকালো নিউজ
রুচির দুর্ভিক্ষ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা যেন থামছেই না। নাট্যকার মামুনুর রশীদ হিরো আলমকে রুচির দুর্ভিক্ষ থেকে উঠে আসা মানুষ বলার পর থেকেই এ বিষয়ে সরগরম নেটদুনিয়া। দেশের বিভিন্ন তারকা মামুনুর রশীদের পক্ষ নিয়ে সেসব আলাপ মাঝেমধ্যেই উসকে দেন।
এদিকে হিরো আলমও ছেড়ে কথা বলছেন না একেবারেই। রুচির দুর্ভিক্ষের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, মামুনুর রশীদ চাইলে আমাকে তৈরি করে নিতে পারতেন। তাহলে মানুষের রুচি নষ্ট হয়ে যেতো না। সম্প্রতি আবারও রুচির বিষয়টি সামনে এনেছেন হিরো আলম।
ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে স্ব-ঘোষিত এই হিরো লিখেন, মানুষের রুচি পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি, সবাই দোয়া রাখবেন। এই পোস্টের সঙ্গে আবার জুড়ে দিয়েছেন কিছু ছবিও। যেখানে হিরো আলমের দেখা মেলে একদম নতুন লুকে, ফরমাল সাজে। এসব ছবিতে হিরো আলমের সঙ্গে রয়েছেন দুজন অভিনয় শিল্পীও।
বেশ কিছুদিন ধরে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে হিরো আলমের সাজ-সজ্জাতে। এ বিষয়ে স্বঘোষিত এই হিরো বলেছেন, সবার ধারণা ছিলো হিরো আলম কখনো বদলাতে পারবে না। আমি সেটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। নিজেকে পরিবর্তন করে দেখিয়ে দেবো। ইতোমধ্যে নিজেকে অনেক পরিবর্তন করেছি। আর অল্পকিছু সমস্যা আছে, সেগুলো কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করে যাচ্ছি। সবতো একসঙ্গে করা সম্ভব না। একটু ধৈয্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
ফেসবুক পোস্টে হিরো আলম আরও লিখেছেন, কলকাতার ঐতিহ্যবাহী লোকেশনে শুটিং চলছে। নিজের ভক্ত-অনুরাগীদের জন্য এটিকে ইদ উপহার বলেছেন হিরো আলম। এছাড়া রোজার মাসের শুরুতে মাহে রমজান নামে একটি ইসলামিক গানেও দেখা দিয়েছিলেন তিনি।
এসবের মাঝে বাড়িতে শিক্ষক রেখে পড়াশোনা শুরু করেছেন হিরো আলম। কথা বলতে গিয়ে আঞ্চলিকতার যে টান আসে সেটি উতরানোর চেষ্টা করছেন। হিরো আলমের কথায়, অনেকেই তাকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি যেন পড়াশোনা শিখে সু-শিক্ষিত হন। সেই পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে একটু একটু করে শেখার চেষ্টা করছেন তিনি।
কেউ কেউ আবার তাকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছেন। তবে সেটি সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন হিরো আলম। কারণ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন তিনি। এছাড়াও পরিবার চালানোর জন্য উপার্জনও করতে হয় তাকে।
হিরো আলম বিশ্বাস করেন তাঁর কিছু দুর্বলতা আছে। সেগুলো পরিবর্তন করতে পারলে আর কোনো সমস্যা হবে না। তখন তাকে নিয়ে আর কেউ কোনো ধরনের কথা বলতে পারবে না। কেউ রুচির দুর্ভিক্ষেও পড়বে না। হিরো আলম বলেন, রুচির দুর্ভিক্ষ কাটাতেই লেখাপড়ার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন।