রমজান মাসে কী করা যাবে, কী যাবে না
সাদাকালো নিউজ
মুসলিম জাতির জন্য আল্লাহতায়ালার পক্ষ হতে রমজান মাসে রয়েছে অত্যন্ত কল্যাণ ও বরকত। তাই রমজানকে স্মরণীয় করে রাখতে চলুন জেনে নিই কুরআন ও হাদিসের আলোকে এ মাসের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে।
প্রথমে জেনে নিই, রমজান মাসে আমরা যা যা করব
১.সাওম/ রোজা পালন: ইসলামের পাঁচটি ভিত্তির মধ্যে অন্যতম একটি ভিত্তি হলো সাত্তম। প্রতিবছর রমজান মাসে একজন সুস্থ সক্ষম মানুষের জন্য সাওম পালন করা ফরজ।
২.তারাবির নামাজ আদায়: শরীয়া মোতাবেক, দিনে সাত্তম পালন করা ফরজ আর রাতে তারাবির সালাত আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ।
৩. সেহরি খাওয়া: সুবহে সাদেকের কাছাকাছি সময়ে রোজা পালনের প্রস্তুতি হিসেবে সেহরি খাওয়া মুস্তাহাব। সেহরিতে রয়েছে অনেক বরকত।
৪. ইফতার করা: সারাদিন মহান আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষে সাওম পালনের পর সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা সুন্নত। ইফতার খেজুর দিয়ে করা মুস্তাহাব। খেজুর না পেলে পানি দিয়ে ইফতার করবে।
৫. কুরআন পড়া ও বুঝা: রমজান মাসে আল্লাহতায়ালা মহাগ্রন্থ আল-কুরআন মানবজাতির হেদায়াতের জন্য নাজিল করেছেন। এ কিতাবে রয়েছে হেদায়েতের বাণী।
৬. তওবা করা: রমজান মাসে আমাদের উচিত বিগত ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি তওবা করা।
৭. ইতেকাফ করা: হজরত আয়শা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি বছর রমজানের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করতেন। ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত তিনি এই নিয়ম পালন করেন।
৮. নফল ইবাদত করা: এজন্য এ মাসে বেশি বেশি নফল ইবাদত করা উচিত।
এবার আসুন জেনে নিই, রমজান মাসে আমরা যা যা করব না
১. অপ্রয়োজনীয় কথা বার্তা না বলা: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কত রোজা পালনকারী এমন আছে, (রোজা অবস্থায় অশ্লীল কথা ও কর্ম থেকে বিরত না থাকার ফলে) ক্ষুধা ও পিপাসা ছাড়া রোজা থেকে সে আর কিছু লাভ করতে পারে না।
২. মিথ্যা কথা না বলা: আল্লাহ ও রাসুলুল্লাহ (সা.) মিথ্যা কথা থেকে বিরত থাকার আদেশ দিয়েছেন।
৩. গীবত থেকে বিরত থাকা: গীবত জিনার চেয়েও জঘন্যতম গুনাহ। তাই আমাদের সকলের উচিত গীবত পরিহার করা।