যে ৫ কারণে নিজেকে শেষ করে দেন সালমান শাহ!
সালমান শাহ। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একটি আজন্ম ব্র্যান্ড। তাকে বলা হয় বাংলা চলচ্চিত্র জগতের রাজপুত্র। তার চলে যাওয়ার দুই যুগ পেরিয়ে গেছে, অথচ এখনো তার আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে আরও অনেক বেশি রঙিন হয়েছে সালমান শাহকে নিয়ে ভালোবাসার রং। এখনও টিভির পর্দায় তার সিনেমা প্রচার হলে দর্শক আগ্রহ নিয়ে দেখেন।
নায়ক সালমান শাহর ভক্তদের দাবি, এখনও তাঁর শেষ হয়ে যাওয়ার রহস্য পুরোপুরি উদঘাটন হয়নি। যদিও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই জানিয়েছে, জনপ্রিয় এই নায়ককে চিরতরে শেষ করা হয়নি। তিনি নিজেই নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা এই নায়ক কেনো এমন করছেন তার পাঁচটি কারণও তারা উল্লেখ করেছেন।
পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে নায়কের অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা। স্ত্রী সামিরার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ। বেশি আবেগপ্রবণ হওয়ায় একাধিকবার নিজেকে শেষ করে দেয়ার চেষ্টা। মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা, যা জটিল সম্পর্কের বেড়াজাল তৈরি করে অভিমানে রূপ নেয়। এবং সন্তান না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে অপূর্ণতা। ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে সালমান শাহ বিষয়ে তদন্ত শেষে এই তথ্যগুলো তুলে ধরেন পিবিআই।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহর ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। এরপর ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে শেষ করে দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগ আনেন তিনি। ওইসময় বিষয়টি তদন্ত করতে থানা পুলিশের পরিবর্তে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।
ক্ষণজন্মা এই নায়ক রেখে গেছেন ২৭টি চলচ্চিত্র এবং অগণিত ভক্ত। সেই ভক্তের সংখ্যা চক্রবৃদ্ধি হারে শুধু বাড়ছেই দিনে দিনে। রুপালি পর্দায় অভিষেকের পর খুব শিগগিরই সালমান শাহ হয়ে উঠেছিলেন কোটি তরুণ-তরুণীর স্বপ্নের নায়ক। শুরুতেই বিশাল সাফল্য দিয়ে তিনি প্রাণসঞ্চার করে দিলেন প্রায় নিঃশ্বেস হওয়া চলচ্চিত্রে। তারপর শুধুই ইতিহাস। অনেকে বলে থাকেন, সালমান শাহর মতো জনপ্রিয় নায়ক হয়তো আর কখনোই কোনো দিন জন্মাবে না বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে। আজ সেই অমর নায়কের চলে যাওয়ার ২৬তম বার্ষিকী।
সাদাকালো নিউজ