যে কারণে পাকিস্তানের মানুষ সেনাবাহিনীর ওপর ক্ষুব্ধ!
সাদাকালো নিউজ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মঙ্গলবার (৯ মে) নানা জল্পনা কল্পনার আবসান ঘটিয়ে দেশটির ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় প্যারামিলিটারি রেঞ্জার্সের সদস্যরা আদালতের বায়োমেট্রিক ভবনের জানালা ভেঙে ইমরানকে নিয়ে যায়।
তাকে হঠাৎ গ্রেপ্তার করায় তার সমর্থকরা রাস্তায় নেমে পড়েন। এদিন পাকিস্তানের মতো দেশে অভাবনীয় দৃশ্য দেখা যায়। ইমরান খানের ক্ষুব্ধ সমর্থকরা রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে ঢুকে পড়েন। এছাড়া সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের দপ্তরগুলোতে হামলা-ভাঙচুর করা হয়।
মূলত ইমরান খানের এ গ্রেপ্তারের পেছনে সেনাবাহিনীর হাত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ গ্রেপ্তার হওয়ার আগেও ইমরান বলেছিলেন, গত বছরের নভেম্বরে তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ফয়সাল নাসির। গত বছর থেকেই ফয়সাল নাসিরের কথা বারবার উচ্চারণ করে আসছিলেন ইমরান।
এই মেজর জেনারেলকে দোষরোপ করায় পরশুদিন পাকিস্তানের সেনাবাহিনী একটি বিবৃতি দেয়। এর পরের দিনই ইমরানকে আদালতের ভেতর থেকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেনাবাহিনী এমঅন বিষয়ে জড়িত— এমন চিন্তা-ভাবনা থেকেই মানুষ সর্বোচ্চ বাহিনীটির সদর দপ্তরে ঢুকে পড়ার মতো সাহস দেখান।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক গবেষক মাইকেল কুগেলম্যান এ ব্যাপারে একটি টুইট করেছেন। তার মতে পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর ওপর সাধারণ মানুষের এতটা ‘চড়াও’ হওয়ার সাম্প্রতিক কোনো নজির নেই। তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানে এ মুহূর্তে, সেনাবাহিনীর ওপর মানুষের যে রাগ, তা দীর্ঘদিন দেখা যায়নি। সামরিক স্থাপনায় আগুন লাগিয়ে দেওয়ার এ ছবি কয়েক বছর আগে কল্পনাও করা যেত না। অল্প সময়ের ব্যবধানে অনেক বড় নাটকীয় পরিবর্তন।’