মেয়র ইস্যুর পর চঞ্চল ইস্যু কি ভারী হবে ইশরাকের?
“একটা ছবি… এক মুহূর্ত… আর তারপরে শুরু হলো ঝড়! একদম হুট করে—চঞ্চল হয়ে উঠলেন ইশরাকের রাজনীতির ‘অচেনা বাউন্ডারি বল’। কিন্তু প্রশ্ন হলো… এই আউট কি সত্যিই ‘অজান্তে’? নাকি পরিকল্পনার বাইরে একটা বড় ভুল?”
“সম্প্রতি বিআইএফএ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে চঞ্চল চৌধুরীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। হ্যাঁ, এই সেই চঞ্চল চৌধুরী—যিনি হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে অনেকে মনে করেন, যিনি মুক্তিযুদ্ধ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সামাজিক ইস্যুতে স্পষ্ট অবস্থানে দাঁড়িয়ে থাকেন বরাবর।”
“ছবিটা ছড়ালো মুহূর্তেই। …আর তারপর? সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠল প্রশ্নের ঝড়—
‘চঞ্চলকে চিনলেন না?’ ‘রাজনৈতিকভাবে এতটাই অসচেতন?’ ‘নাকি এও ছিল এক নতুন সিগন্যাল?’”
“কেউ বলছেন, ‘আর সার্কাস না ভাই’, আবার কেউ বলছেন, ‘খোকার ছেলের কাছ থেকে এ প্রত্যাশা করিনি।’ এমনকি দলের ভেতর থেকেও আসছে বিরক্তি— সুশীল বিএনপির অনেকে বলছেন, এই ছবি বিএনপির অবস্থানকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে!”
“বিতর্ক বাড়তেই ইশরাক দিলেন ব্যাখ্যা। বললেন—তিনি চঞ্চলকে চিনতেন না। অনুষ্ঠানে কাকে পুরস্কার দিতে হবে, তা জানতেন না। ২০১৫ সালে দেশের বাইরে ছিলেন, তাই অনেক ঘটনা জানা ছিল না। …এবং শেষে যোগ করলেন—ক্ষমা প্রার্থনা।”
“তবে প্রশ্ন রয়ে যায়— এই ক্ষমা কি যথেষ্ট? একজন রাজনৈতিক নেতার এই ব্যাখ্যা কি গ্রহণযোগ্য? আর চঞ্চল চৌধুরীর মতো একজন আইকনিক ব্যক্তিত্বকে না চেনা— …এটা কি সম্ভব?”
“রাজনীতি হচ্ছে প্রতীক আর ইঙ্গিতের খেলা। চঞ্চল ছিলেন সেই মুহূর্তে প্রতীক। আর ইশরাক? তিনি এখন সেই ইঙ্গিতের শিকার—নাকি ইঙ্গিতদাতা?”
“আপনি কী ভাবছেন? এই একটি ছবি কি ইশরাকের জন্য বড় রাজনৈতিক ক্ষতি? নাকি এটা সবই সোশ্যাল মিডিয়ার এক্সট্রা ড্রামা?” কমেন্টে জানান—আপনার মতামত। আর এমন বিশ্লেষণ পেতে আমাদের সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না।