মুশফিকের জ্বরে সময় নষ্ট হওয়ায় রংপুরের ছন্দপতন!
সাদাকালো নিউজ
মাশরাফি মুর্তজাদের দেওয়া ১৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় রংপুর রাইডার্স তখন জয়ের পথেই ছিল। ১৮ বলে তাদের দরকার ছিল কেবল ৩৩ রান। উইকেটে থিতু হওয়া সোহান ও রনি তখন দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন জয়ের দিকে। হাতে ছিল ৭ উইকেট। সেখান থেকে ম্যাচ জয় ভিন্ন অন্য কিছু চিন্তা করা যায় না। কিন্তু সিলেট স্ট্রাইকার্সের সময় নষ্টে ছন্দ হারায় রংপুর। এরপর আর তাদের ম্যাচে ফেরা হয়নি।
সিলেটের বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষে সময় নষ্টের অভিযোগও করেছেন রংপুরের কোচ সোহেল ইসলাম। এদিন ৬ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ বলে ৬ রান করেন মুশফিক। তবে শুরু থেকে ফিল্ডিংয়ে নামেননি। ম্যাচের ১৮তম ওভারে মাঠে ঢোকেন মুশফিক। ম্যাচ অফিসিয়ালদের বলা হয়েছিল, জ্বরের কারণে তিনি ফিল্ডিংয়ে নামেননি। তার পরিবর্তে কিপিং করেন বদলি হিসেবে নামা আকবর আলী। নিয়ম অনুযায়ী, দায়িত্বপ্রাপ্ত কিপার মাঠে থাকলে তখন আর বদলি কাউকে দিয়ে কিপিং করানো যায় না, একাদশে থাকা কারো হাতেই থাকতে হয় কিপিং গ্লাভস। আকবর যখন মাঠ ছাড়েন তখন জাকির হাসান গ্লাভস তুলে নেন। এ নিয়ে মাঠে মুশফিকের সঙ্গে আম্পায়ার কথা বলেন, আম্পায়ারের সঙ্গে সোহানের কথোপকথন হয়। এসব করতে গিয়ে অনেক সময় নষ্ট হয়।
ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রতিপক্ষের ছন্দ নষ্ট করার এ প্রক্রিয়া পুরোনো। ছন্দে থাকা ব্যাটসম্যানদের মনোযোগে চিড় ধরাতে সময় নিয়ে অধিনায়ক পরিকল্পনা সাজান, নয়তো বোলারের সঙ্গে কথা বলেন, পানি বা ড্রিংকস আনা-নেওয়ার কাজ করিয়ে সময় নষ্ট করেন। বোলার বল মুছে, ফলো থ্রু ঠিক করে, রান আপ ঠিক করে সময় নষ্ট করেন। এগুলো ক্রিকেটে প্রচলিত। মুশফিকের মাঠে প্রবেশ, আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলা, জাকিরের প্যাডআপ হয়ে উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো সবকিছুতেই সময় নষ্ট হয়েছিল। তাতেই ছন্দপতন রংপুরের।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে কোচ সোহেল ইসলাম সেই কথাগুলোই শোনালেন, ‘আমি আসলে জানি না, এটা ট্যাকটিকস ছিল কি না বা কিছু… কিন্তু যেটা হয়েছে, মুশফিক ব্যাটিং করেছে। আমি তৃতীয় আম্পায়ারকে জিজ্ঞেস করেছি যে, কিসের জন্য সে বাইরে আছে (ফিল্ডিংয়ের সময়)। তারা বলছে যে, তার জ্বর এসেছে, এজন্য বাইরে। আমার কথা হচ্ছে যে, জ্বর যখন আসবে, তার দায়িত্ব কি অন্য দল নেবে? নিশ্চয়ই নয়! সেই ব্যাপারটি নিয়েই কথা হচ্ছিল।’