মা নেই, ছোট ছোট চার ভাই-বোন দেখে রাখে নিজেদের!
সাদাকালো নিউজ
জীবিকার সন্ধানে দিনমজুর বাবা বাড়ির বাইরে। মা হারানো অবুঝ চার শিশু ছোটাছুটি করছে বাড়ির আঙ্গিনায়। সবার চোখেমুখে অসহায়ত্বের ছাপ। বাবা প্রতিদিন কাজে যাবার পরে জীর্ণশীর্ণ ঘরে একখাটে বসে থাকে তারা। তাদের সকালের খাবার শুকনো চিড়া ও চিনি।
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম রুইয়ার কুল। ইটের সোলিং দেয়া গ্রামের মেঠোপথ ধরে কিছুদূর গেলে দেখা মিলবে পানিঘেরা একটি বাড়ির। এখানেই থাকে ছোট্ট চার শিশু। কিছুদিন আগে শিশুদের মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। এর পর থেকেই তাদের এ করুণ দশা।
জানা যায়, রুইয়ার কুল এলাকার সুদাষ ব্রক্ষ্মা ১৩ বছর আগে পার্শবর্তী গ্রামের ঝর্ণা বিশ্বাসকে বিয়ে করেন। দিনমজুর হলেও স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সুখেই কাটছিলো তাঁদের সংসার। হঠাৎ করে ক্যান্সার বাসা বাধে ঝর্ণার শরীরে। দিনমজুর সুদাষের নুন আন্তে পান্তা ফুরায় অবস্থা। তাই খুব একটা চিকিৎসা করাতে পারেননি স্ত্রীর। দেড়মাস আগে চার সন্তান ও স্বামী সুদাষকে রেখে পরপারে পাড়ি দেন ঝর্ণা। এরপর থেকেই অসহায় অবস্থা সুদাষ ও তাঁর চার সন্তানের।
তেমন কোনো সহায় সম্পত্তি নেই সুদাষের। কোনো রকম দিনমজুরি করেন তিনি। স্ত্রী না থাকায় শিশুদের রেখে ঠিকমত কাজেও যেতে পারছেন না। তাঁর দুই ছেলে-মেয়ে স্কুলে যেত সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। এখন খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে তাঁদের।
শিশুদের মধ্যে সবার বড় সজল ব্রক্ষ্মার বয়স ১১ বছর। তারপরে স্বর্ণালীর বয়স ৭। নয়নের ৪ ও সবার ছোট সুমির বয়স ১১ মাস।