মাঠ ছাড়বেন না জাহাঙ্গীরের মা!
সাদাকালো নিউজ
প্রথমবারের মতো সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির হলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। নির্বাচনের গতি যে দিকেই গড়াক অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবেন তিনি। ৬ মে গাজীপুর সদরের ছয়দানা এলাকার বাসায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে জায়েদা দাবি করেন, তার ছেলের প্রতি ‘অন্যায়’ করা হয়েছে। এ কারণেই তিনি ভোটে নেমেছেন। আর সেই ‘অন্যায়ের’ প্রতিবাদেই সবাই তার পাশে থাকবে এবং তিনি ভোটে জিতবেন। বলেন, তিনি কেবল জাহাঙ্গীরের না, সবার মা।
প্রথমবারের মতো সংবাদমাধ্যম কর্মীদের সামনে মাকে নিয়ে আসেন জাহাঙ্গীরই। সেখানে জায়েদা বলেন, নগরের ৫৭টা ওয়ার্ডের মানুষ আমাকে কতটা ভালোবাসে, তা আমি ভোটের মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাই। যদি সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। ৫৭টি ওয়ার্ডের মানুষ আমার সঙ্গে আছে, থাকবে ইনশাল্লাহ।
জাহাঙ্গীরের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার ছেলে নগরে বাসিন্দাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছিল। নগরের রাস্তাঘাটের অনেক উন্নয়ন করছে। কিন্তু কিছু মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ষড়যন্ত্র করে আমার ছেলেকে বসানো হইছে। আমার ছেলের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। আমি এই অন্যায়ের প্রতিবাদে মাঠে নেমেছি।
এসময় তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি যদি নির্বাচিত হতে পারেন, ছেলে যে কাজগুলো করেছে তার পথ ধরেই এগোবেন। যত অসমাপ্ত কাজ রয়েছে সেগুলো ছেলেকে সাথে নিয়েই সমাপ্ত করার চেষ্টা করবেন। সবার সাথে যোগাযোগা রাখবেন। সবগুলো ওয়ার্ডের মানুষদের নিজের সন্তানের চোখে দেখবেন।
২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যে ভোট হতে যাচ্ছে, তাতে এখন আলোচিত চরিত্রে পরিণত হয়েছেন জায়েদা খাতুন। সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর তার কর্মী সমর্থকরা এখন মায়ের পাশেই দাঁড়িয়েছেন।
গাজীপুর সদরের ছয়দানা এলাকার বাসায় জাহাঙ্গীরের বাড়িতেই থাকেন তার মা। স্থানীয় সামাজিক নানা অনুষ্ঠানে তিনি মাঝেমধ্যে গেছেন। তবে জনসম্মুখে প্রকাশ্যে সেভাবে আসেননি তিনি। এমনকি মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার দিনও যাননি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে।
সংবাদমাধ্যম কর্মীদের সামনে নিয়ে আসার মাধ্যমে মাকে কার্যত ভোটের মাঠে নামালেন জাহাঙ্গীর। তবে তিনি এখনও নিজের বিষয়ে আশা হারাচ্ছেন না। একটি পোশাক কারখানার ১০১ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের জামিনদার থাকায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পরে নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা বাতিল করে দিয়েছে। জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন, তিনি উচ্চ আদলতে যাবেন। আদালতের সিদ্ধান্তেই প্রার্থিতা ফিরে পাবেন।
এখন পর্যন্ত অনেকের ধারণা, জাহাঙ্গীর যদি শেষ পর্যন্ত প্রার্থিতা ফিরে না পান, তাহলে তিনি মায়ের পক্ষে সর্বশক্তি নিয়োগ করবেন। তবে আওয়ামী লীগে অবস্থান হারানোর পর নেতাকর্মীদের একটি অংশ পক্ষত্যাগ করায় তিনি মায়ের পক্ষে কতটা সফল হবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।