‘মমি মেকওভার’ বিষয়টি আসলে কী?
বলিউডের নায়িকারা চান সব সময় তাঁদের চেহারায় একটা ধারালো ভাব থাকবে। তার জন্য যদি কয়েকটা অস্ত্রোপচার করাতে হয়, তবে তা নিয়ে বেশি ভাবেন না। বিশেষ করে মা হওয়ার পরেও নায়িকারা চান, তাঁদের চেহারার আদল আবার মাতৃত্বের আগের অবস্থায় ফিরে যাক। কারণ, সন্তানের জন্ম দেওযার পরে তাঁদের দীর্ঘ যত্নলালিত চেহারার গড়ন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর এই ব্যাপারটি তাদেরকে প্রচুর মানসিকভাবে প্রভাবিত করছে। তারকা মায়েরা ভয় পাচ্ছেন, তাঁদের অভিনয় জীবন নষ্ট হয়ে যাবে!
অতীতে বলিউডের বহু নায়িকা মা হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে অন্যতম, দীপিকা পাড়ুকোন, আলিয়া ভট্ট, রাধিকা আপ্তে, রিচা চড্ডারা। এঁদের প্রত্যেকেরই প্রসব পরবর্তী শারীরিক বদল এসেছে। কেউ কেউ দীর্ঘ সাধ্যসাধনার পরে ধীরে ধীরে আগের চেহারায় ফিরেছেন। কেউ এখনও সময় নিচ্ছেন। তবে বর্তমান সময়ে বলিউড নায়িকাদের ক্যারিয়ার নস্টের সেই ভয় কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করছে ‘মমি মেকওভার’!
মমি মেকওভার নিয়ে ভারতের প্লাস্টিক সার্জন বিক্রম সিংহ রাঠোর বলছেন, ‘‘সন্তান প্রসবের পরে মেয়েদের স্বাভাবিক নিয়মেই চেহারায় পরিবর্তন আসে, শরীর ভারী হয়, স্তনের গঠনে বদল আসে, স্ট্রেচমার্কও দেখা দেয় শরীরে। অভিনেত্রী বা যাঁরা ফ্যাশন দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা এতে বিপন্ন বোধ করেন। ভাবতে শুরু করেন, তাঁরা আর কাজ পাবেন না। হতাশাতেও ভুগতে শুরু করেন অনেকে। তাঁদের সমস্যার সমাধান করে ‘মমি মেকওভার’। অর্থাৎ সন্তান প্রসবের পরে শরীরের বহিরঙ্গে যে সব পরিবর্তন আসে, তাকে আবার মাতৃত্বের আগের পর্যায়ে ফিরিয়ে দেয় এই চিকিৎসা।
কিন্তু ‘মমি মেকওভার’ বিষয়টি আসলে কী? আসুন একটু জানার চেষ্টা করি। আধুনিকতার ছোয়ায় আমরা মা’কে মাম্মি, মম আরো অনেক বিশেষণে ডাকি। তেমনই একটি বিশেষণ হচ্ছে ‘মমি’ অর্থাৎ মা। আর রূপচর্চার জগতে ‘মেকওভার’ শব্দটির অর্থ চেহারার পরিবর্তন করে আরও সুন্দর করে তোলা। যেহেতু সন্তান প্রসবের পরে মায়েদের বদলে যাওয়া চেহারাকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সম্ভবত সে জন্যই চিকিৎসা পদ্ধতিটির ওই নাম দেওয়া হয়েছে। তবে ‘মমি মেকওভার’ কসমেটিক চিকিৎসার কোনও নতুন ধরন নয়। বরং মায়েদের প্রয়োজন অনুসারে চেহারা বদলানোর একাধিক চিকিৎসা পদ্ধতির একটি সম্মিলিত প্যাকেজ।
এতক্ষণে আপনার আগ্রহ তুঙ্গে উঠতে পারে এই জানতে চেয়ে যে কী কী হয় এই মমি মেকওভারে? এই প্রশ্নের উত্তরে ডাঃ রাঠোর বলেছেন মেকওভার পুরোটাই নির্ভর করে মা কী চাইছেন তার উপর। তবে সাধারণত কয়েকটি জিনিস করতে হয় যা মধ্যে লাইপো সাকশন বা লিপো সাকশন। মানে শরীরের বিভিন্ন অংশের মেদ কমিয়ে চেহারায় নিখুঁত গড়ন আনা।
এছাড়াও লেসার ট্রিটমেন্ট করা হয়, যা মায়ের পেটের স্ট্রেচমার্ক নির্মূল করতে সাহায্য করে। ব্রেস্ট আপলিফ্টমেন্ট সার্জারি কিংবা ব্রেস্ট রিডাকশন সার্জারি যা স্তনের গঠনে বদল আনার জন্য করা হয় এবগ টামি টাক সার্জারি। যেখানে প্রসবের পরে পেট এবং তলপেটের অংশে চর্বি জমে। কিছুটা শিথিল হয়ে যায় পেশি। টামি টাক সার্জারিতে পেটের অংশে টানটান ভাব আসে।