মনোনয়ন পত্র বাতিল হাইকোর্টে যাচ্ছেন জাহঙ্গীর!
সাদাকালো নিউজ
ঋণ খেলাপির দায়ে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরের অভিযোগ, তার ওপরে অন্যায় করা হয়েছে। ন্যায়বিচার পেতে তিনি আপিল করবেন। প্রয়োজনে হাইকোর্টে যাবেন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর নিউ টাউন সিটি ওয়্যার নামের একটি কোরিয়ান কোম্পানি অগ্রণী ব্যাংক থেকে ১০০ কোটি টাকা ঋণ নেয়। সেই ঋণ নেয়ার সময় জামিনদার হন জাহাঙ্গীর আলম। আসন্ন গাজীপুর সিটির নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি সেই তথ্য ইসিকে জানায়। সেখানে খেলাপি ঋণ দেখানো হয়। ব্যাংকের সেই তথ্যের ভিত্তিতেই জাহাঙ্গীরের মনোননয় পত্র বাতিলের ঘোষণা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর জানান, যে ঋণ খেলাপির অভিযোগ আনা হয়েছে সেই ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। গত ১১ই এপ্রিল ও ১৮ই এপ্রিল কোরিয়ান কোম্পানি বাংলাদেশ ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের পাওনা টাকা পরিশোধ করেছে। সেসব কাগজপত্র আইনজীবীর মাধ্যমে জমাও দেয়া হয়েছে। তারপরও তার মনোননয়ন বাতিল করা হয়েছে।
এদিন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জাহাঙ্গীরের পক্ষে একজন আইনজীবীও উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, আইন অনুযায়ী কোনো জামিনদার কখনো ঋণ খেলাপি হন না। এ বিষয়ে আপিল বিভাগের রায়ও আছে। এছাড়া ইতোমধ্যে ব্যাংকে টাকাও জমা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের এখন আর কোনো আপত্তি নেই। এ কারণে তিনি ঋণ খেলাপি নন।
পরে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী জাহাঙ্গীর আলম ঋণ খেলাপি। তবে তার দাবি, ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করেছেন। এ সংক্রান্ত কাগজপত্রও নাকি দাখিল করেছেন। তবে ব্যাংক যে সেটি গ্রহণ করেছে তা যথাযথ মনে হয়নি তাই তার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে।
ফরিদুল ইসলাম আরও জানান, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আরও ১২ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন। কাগজপত্রে ত্রটির কারণে তাদের মধ্যে তিন জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোটে থাকায় বিব্রত কেন্দ্রীয় নেতারা। দলীয়ভাবে জাহাঙ্গীরকে ক্ষমা করা ভুল হয়েছে কি-না তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, জাহাঙ্গীর আবারও দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন। যে নেতা নিজ দলের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন সে দলের কেউ নন।
গাজীপুর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছ, ৫৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন। এই সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬৩ জন। আগামী ২৫ মে ইভিএমের মাধ্যমে গাজীপুর সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।