ভিসা নীতিতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই: হানিফ
সাদাকালো নিউজ
মার্কিন ভিসা নীতিতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চায় তাদের জন্য ভিসা নীতি, তারাই উদ্বিগ্ন হবে বলে মন্তব্য করেছন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ। এই রাষ্ট্রের জন্য বিশেষ কোনো দেশের ভিসা নীতি সম্মানজনক নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধ পরিকর। যারা বলেছেন নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু দেখতে চাই সেই তাদের চাওয়া আর আমাদের চাওয়ার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
শনিবার বিকেলে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে হানিফ এসব বলেন।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে আগামী সংসদ নিবাচন যদি কেউ বাধাগস্ত করে তাহলে তার ওপর ভিসা নীতি প্রয়োগ হবে। যারা এখনো নির্বাচনের বিরোধিতা করে হুমকি দিচ্ছেন, নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছেন, দেশ তাদের ওপর কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় কি-না জাতি দেখতে চায়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে অন্ধকার বাংলাদেশকে আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন। চরম দারিদ্রশীল দেশকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। বাংলাদেশকে যখন বিশ্বের বুকে মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ২০৩১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে যাচ্ছেন এবং নির্বাচন কমিশন ও সারাদেশের মানুষ যখন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় শামিল হওয়ার পথে তখন নতুন করে এক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। যারা ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসের দেশ বানিয়েছিল সেই বিএনপি-জামায়াত এখন সরকার পতনের স্বপ্ন দেখছে আন্দোলন আন্দোলন খেলা শুরু করেছে।
হানিফ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বিএনপি নেতারা নানা কথা বলছেন, তাদের কথার মধ্যে ঔদ্ধত্ব দেখা যাচ্ছে। বিএনপি নেতারা বলছেন ক্ষমতা ছেড়ে দিতে। আমরা এই সমাবেশ থেকে জিজ্ঞেস করতে চাই ক্ষমতা কি মামার হাতের মোয়া? যে চাইলেই ছেড়ে দিলাম। আর তোমরা কারা। তোমাদেরকে এ দেশের জনগণ চেনে। একাত্তরেরে রাজাকার শাবকদের কথায় সরকার পরিবর্তন হবে না। আর এখন তারা লম্বা কথা বলে। কিছুদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্ট এই বিএনপিকে তৃতীয় গ্রেডের সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা করেছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আপনারা (বিএনপি) কার হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে চান? চুরির দায়ে, হত্যা, সন্ত্রাস, লুটপাটের কারণে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে যে পলাতক আছে। সেই চোর, সন্ত্রাসের হাতে দেশের মানুষ ক্ষমতা তুলে দিবে? পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, এই দেশে মানুষ কোনো খুনীর হাতে ক্ষমতা তুলে দিবে না। বিএনপি স্বপ্ন দেখছে, ভাবছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ষড়যন্ত্র মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে। আমর পরিস্কারভাবে বলতে চাই, এ দেশের ক্ষমতার মালিক জনগণ। কোনো বিদেশি শক্তি কাউকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে না।
শেখ হাসিনার ওপর দেশের ৭০ ভাগ মানুষ আস্থাশীল উল্লেখ করে হানিফ বলেন, যে সরকারে ওপর দেশের ৭০ ভাগ মানুষ আস্থাশীল সেই সরকারকে হুমকি দিয়ে লাভ হবে না। নিধারিত সময়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। জনপ্রিয়তা প্রমাণ করতে নির্বাচনে অংশ নিন। জনগণের কাছে যান। অতীতের হত্যা, সন্ত্রাসের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা প্রাথনা করুন। জনগণ ক্ষমা করে দিতে পারে।