বোতল চৌধুরীর উঠা-বসা ছিল ভিআইপিদের সঙ্গে!
রাকিবুল ইসলাম
১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর ট্রামস ক্লাবে একেবারে শেষ করে দেয়া হয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে। একাণ্ডে দেয়া অভিযোগপত্রে ৮ নম্বরে রয়েছে আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীর নাম। গত ২৮ মার্চ এই কাণ্ডে ফেরারিদের যে তালিকা প্রকাশ হয় তাতে ১ নম্বরে রয়েছে বোতল চৌধুরীর নাম।
মঙ্গলবার রাত ১০টা ৫০ মিনিটে অভিযান চালিয়ে গুলশানের পিংক সিটির পাশে ১০৭ নম্বর রোডের ২৫/বি নম্বর বাড়ির এ-১ ফ্ল্যাট থেকে তাকে ধরেছে র্যাব। তার কাছে নানা ধরণের না সেবনদ্রব্যও মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, বনানীর ট্রামস ক্লাবের যৌথ মালিকানা ছিল আশিষ রায় চৌধুরীর। সোহেল চৌধুরীকাণ্ডে আইনের চোখে ফেরারি ছিলেন বোতল চৌধুরী। প্রায়ই তিনি দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াতেন। বেশিরভাগ সময় থাকতেন প্রভাবশালীদের সংস্পর্শে।
র্যাবের অভিযানে পাওয়া তথ্য বলছে, ২৪ বছর ধরে সবার চোখের সামনে দিয়েই নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়িয়েছেন আশিষ চৌধুরী বোতল। দেশের বিমানবন্দরগুলোতে ছিল তার অবাধ যাতায়াত। তিনি একাধিক বেসরকারি এয়ারলাইনসের বড় পদে ছিলেন।
সবশেষ একটি সনামধন্য এয়ারওয়েজের চিফ অপারেটিং অফিসার- সিওও হিসেবে বিমানবন্দরের ভেতরে নিয়মিত যাতায়াত করতেন আশিষ। বিমানবন্দরে প্রবেশের ডিউটি পাস রয়েছে তার কাছে। আর এই সুবিধা নিয়ে প্রভাবশালী ও রাজনীতিবিদসহ ভিআইপিদের বিমানবন্দরে সেবা দিতেন তিনি। আর এভাবেই ভিআইপিদের সংস্পর্শে থাকতেন আশিষ।