বিয়ন্সের কারণে সুইডেনে মূল্যস্ফীতি
সাদাকালো নিউজ
করোনাভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। সুইডেনে সম্প্রতি আরও একটি ভিন্ন কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পপ তারকা বিয়ন্সের কনসার্টকে সামনে রেখে দেশটির রাজধানীতে অতিরিক্ত জনসমাগম ঘটেছে। আর তার প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে।
বিয়ন্সের কনসার্ট দেখতে ৪০ হাজারেরও বেশি ভক্ত রাজধানী স্টকহোমে ভিড় করায় প্রভাব পড়েছে অর্থনীতির ওপর। বিয়ন্সের বিশ্বব্যাপী রেনেসাঁ ট্যুরের শুরু হয়েছে সুইডিশ রাজধানীর দুটি কনসার্টের মধ্য দিয়ে। বাড়তি চাহিদার কারণে কনসার্টের সব টিকেট দ্রুত ফুরিয়ে যায়। পাশাপাশি অতিরিক্ত জনসমাগমে কারণে হোটল ও আবাসন খরচে চাপ পড়ে।
২০১৬ সালের পর এবারই একক ট্যুর করছেন বিয়ন্সে। আর এ কারণে দেশী-বিদেশী ভক্তদের কাছ থেকে তুমুল সাড়া পান। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান শহরটির দুর্বল মুদ্রা ব্যবস্থা ও সস্তা টিকেটের সুবিধা নিতে প্রচুর আমেরিকান পর্যটক ভিড় করেছেন। অর্থনীতিবিদরা মূল্যস্ফীতির পেছনে এই কারণকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।
দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ভোক্তা মূল্য সূচকে (সিপিআই) মে মাসের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৭%। প্রকৃত মূল্যস্ফীতি জ্বালানি ও খাদ্য খাতে অস্থিরতা বাড়িয়েছে। এ খাতে মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি; ৮.২%।
সুইডেনের ডান্সকে ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ মাইকেল গ্রানের ধারণা, “বিয়ন্স ইফেক্টে”র ফলে মূল্যস্ফীতি অন্তত ০.২% বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির ওপর প্রভাব ফেলেছে মূলত কনসার্ট দেখতে আসা ভক্তদের আবাসন। যা মে মাসে গড়ে ১২% হোটেলের ভাড়া বৃদ্ধির কারণ।
বিয়ন্সের ভক্তরা স্টকহোমের আশপাশে প্রায় ৪০ মাইল এলাকায় থাকা সবগুলো হোটেলগুলো বুকড করে ফেলেন। যা হোটেলের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, “আমি সুইডেনের উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য বিয়ন্সেকে পুরোপুরি দায় দেব না, তবে তার কনসার্ট দেখার বৈশ্বিক চাহিদার কারণে কিছুটা হলেও এর ওপর প্রভাব পড়েছে।”
অর্থনীতিবিদ গ্রান জানান, একজন শিল্পীর এককভাবে একটি দেশের অর্থনীতির ওপর এত বড় প্রভাব ফেলার বিষয়টি ‘অত্যন্ত বিরল’। বড় ফুটবল প্রতিযোগিতাও এ ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।