বিরোধ মিটছেই না জাপার দেবর-ভাবির!
সাদাকালো নিউজ
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টিতে আবারও শুরু হয়েছে দেবর-ভাবির প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব। এই আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছেন জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। তবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলছেন, মনোনয়ন দেয়ার কোনো এখতিয়ার রওশন এরশাদের নেই। প্রার্থী ঠিক করবে দলের মনোনয়ন বোর্ড।
চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য ফারুকের প্রয়াণে শূন্য ঘোষণা করা হয় ঢাকা-১৭ আসন। আগামী ১৭ জুলাই এ আসনে উপনির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ১৫ই জুন।
২০০৮ সালে ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন সাবেক সামরিক শাসক ও জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। সে সময় বিএনপি নেতা প্রয়াত হান্নান শাহকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হলেও নায়ক ফারুককে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ান।
সম্প্রতি ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে নিজের মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদকে মনোনয়ন দেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। ৭ জুন তার পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। তবে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু একে অবান্তর কাজ বলছেন।
মুজিবুল হক চুন্নু জানান, প্রার্থী ঠিক করবে জাপার মনোনয়ন বোর্ড। মনোনয়ন দেবেন চেয়ারম্যান। এর বাইরে কে কী করছে সেগুলো ‘আউট অব সিলেবাস’। জাপা উপনির্বাচনে অংশ নেবে। যথাসময়ে প্রার্থী দেবে।
রওশন এরশাদের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কাজী মামুনকে লাঙলের প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়নের চিঠি তুলে দিয়েছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এবং বিরোধীদলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসিহ। যদিও মসিউর রহমান রাঙ্গা জাপা থেকে বহিষ্কার হয়েছেন।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময়ে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন কাজী মামুন। জি এম কাদের দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি বাদ পড়েন। এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগ দেন। পরবর্তীতে রওশন এরশাদের সঙ্গে ভেড়েন। কাজী মামুন বলছেন, তিনিই হবেন জাপার প্রার্থী। যথাসময়ে জি এম কাদের লাঙল প্রতীক তাকে দেবেন। জাপায় বিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু নির্বাচনের বিষয়ে রওশন এরশাদ, জি এম কাদেরসহ সবাই ঐক্যবদ্ধ আছেন।
বিরোধীদলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসিহ’র দাবি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সাথে আলাপ আলোচনা করেই কাজী মামুনকে মনোনয়ন দিয়েছেন রওশন এরশাদ। এতে ভিন্ন কিছু চিন্তা করার অবকাশ নেই।
অপরদিকে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এসব কর্মকাণ্ডের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তার ভাষ্য, জাপার প্রার্থী কে হবে তা সময় বলে দেবে। তবে যারা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে লিপ্ত, খুব তাড়াতাড়ি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।