হিরো আলমের জমজমাট প্রচারণা!
সাদাকালো নিউজ
আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে অনুষ্ঠিত হবে উপনির্বাচন। ইতোমধ্যে আসনটিতে বইছে নির্বাচনি আমেজ। নির্বাচনকে সামনে রেখে জমজমাট প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। সারাদিন এলাকায় ভোটার আকর্ষণ করা রেকর্ড মাইকিং চলছে। কেন্দ্র ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে পোস্টারে ছেয়ে গেছে।
অন্যসব প্রার্থীদের মতো মাঠে নেমেছেন আলোচিত আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। প্রতীক ‘একতারা’ হাতে সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইছেন তিনি।
সম্প্রতি বগুড়া শহরের সাতমাথা, জলেশ্বরীতলাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে প্রচারণা চালান হিরো আলম। সুসজ্জিত পিকআপ ভ্যানে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোট চান তিনি।
হিরো আলমের পিকআপ ভ্যানটি বানানো হয়েছিলো মিনি মঞ্চের আদলে। সেখানে প্যান্ডেলের সঙ্গে লাগানো মাইক। সেখানে বাজছে হিরো আলম ও একতারা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী গান। পিকআপের দুই পাশে হিরো আলমের ছবি ও ‘একতারা’ প্রতীক-সংবলিত ব্যানার। হিরো আলমের পোশাকেও ছিল চমক। তাঁর পরনে সাদা পাঞ্জাবির সঙ্গে ধূসর-তামাটে রঙের কটি।
পিকআপে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে ভোটারদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন হিরো আলম। মাঝেমধ্যে পিকআপ থেকে নেমে ভোটারদের সঙ্গে করমর্দন করেন তিনি। নির্বাচনে জয়ী হলে বিপদে-আপদে সব সময় এলাকাবাসীর পাশে থাকবেন বলে ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় ভোটারদের অনেককেই তাঁর সঙ্গে ছবি ও সেলফি তুলতে দেখা গেছে।
শহরের সাতমাথায় ভোটারদের উদ্দেশে হিরো আলম বলেন, ‘টাকাওয়ালা, ক্ষমতাবান, সুন্দর চেহারার শিক্ষিতদের ভোট দিয়েছেন, এবার একবার অদম্য সাহসী হিরো আলমকে ভোট দিয়ে পরীক্ষা নেন। ১০ মাসের জন্য সংসদে পাঠান, রাতারাতি হয়তো জনগণের ভাগ্য বদলে দিতে পারব না, তবে এমপির সম্পর্কে মানুষের ধারণা পাল্টে দেব।’
হিরো আলম বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, দুই আসনেই সমানতালে নির্বাচনী প্রচারণা চলছে। সবখানে ভোটারদের দোয়া, ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়ে তিনি অভিভূত। ভোট অবাধ হলে ‘একতারা’ প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত।
দলীয় সিদ্ধান্তে বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের পর বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ১৮ ডিসেম্বর উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী পহেলা ফেব্রুয়ারি আসন দুটিতে ভোট গ্রহণের কথা আছে।
এই দুই আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন হিরো আলম। কিন্তু ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরের তালিকায় গরমিল থাকায় প্রথমে রিটার্নিং কর্মকর্তা, পরে নির্বাচন কমিশন থেকে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এরপর উচ্চ আদালতে রিট করে প্রার্থিতা ফিরে পান হিরো আলম।